ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণে মৃত কালিম্পংবাসী মহিলার স্বামী এবং মৃতার সরাসরি সংস্পর্শে আসা সাতজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠাল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এঁদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতজনকে অ্যাম্বুল্যান্সে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। রবিবার রাতে শিলিগুড়ি পুর িনগম এলাকার জ্যোতিনগর থেকে এই সাতজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছিল। মৃতার সঙ্গে পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা আরও ১৪ জন এখন জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রানিনগরের পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোয়রান্টিনে রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। সোমবারই সন্দেহজনক সাতজনের লালারস পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। যদিও এ দিন বিকেল পর্যন্ত পরীক্ষার রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দফতর হাতে পায়নি বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে সাতজনকে স্থানান্তরিত করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে আতঙ্ক ছড়ায়। রটে যায়, রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়াতেই সরানো হচ্ছে এঁদের। স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, ‘‘আমাদের ন্যূনতম কোনও সতর্কতামূলক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। আমরা যাঁরা ওই সাতজনের সংস্পর্শে এসেছি তাঁদের সবার পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদেরও কোয়রান্টিনে রাখার ব্যবস্থা হোক।’’
সূত্রের খবর, সাতজনের মধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ছিল। যে চিকিৎসকেরা ওই সন্দেহজনক রোগীদের লালারস সংগ্রহ করেছিলেন তাঁদেরকেও কোয়রান্টিনে রাখার দাবি তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। হাসপাতালের সাফাই কর্মীদেরও অনেকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করেছেন। তাঁদেরকেও চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখন থেকে শিলিগুড়ি পুর এলাকার করোনাভাইরাস সন্দেহজনক কোনও রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর নেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy