প্রতীকী ছবি
বাগডোগরা থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা নিয়ে আলোচনা হল বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটিতে। প্রায় নয় বছর পরে সোমবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক হল।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, জেলার সাংসদকে চেয়ারম্যান করে বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটি হয়। এখন সাতজনের কমিটি রয়েছে। যার চেয়ারম্যান দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। ওই কমিটিতে রয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) প্রতিনিধি, মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি, পুলিশ-প্রশাসন, বিমান সংস্থার সদস্যরা।
পবন হংসের একটি হেলিকপ্টার নিয়মিত বাগডোগরা থেকে সিকিমের গ্যাংটকে যাতায়াত করে। আগাম টিকিট কেটে যাত্রীরা সেই পরিষেবা নিতে পারেন। ধস বা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে কোনও সমস্যা হলে হেলিকপ্টার পরিষেবার চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সেনা বা ভিআইপি হেলিকপ্টার হলে দার্জিলিঙের ক্ষেত্রে তা লেবং বা ঘুম হেলিপ্যাডে নামে। পরামর্শদাতা কমিটির বক্তব্য, পর্যটন এবং নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে ওই পরিষেবা নিয়মিত চালানো যেতে পারে। বিমানমন্ত্রকে বিষয়টি জানানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। এ দিন কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ রাজু বিস্তা হেলিকপ্টার পরিষেবা নিয়ে সবার মতামত শুনে কেন্দ্রের কাছে তা জানানোর কথা বলেছেন।
এ দিন বৈঠকে বিমানবন্দরের বর্তমান পরিকাঠামোয় যাত্রী পরিষেবা বাড়ানো, নতুন টার্মিনাল ভবনের জন্য জমি অধিগ্রহণ, পার্কিং সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিমানবন্দর অধিকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ১০৫ একর জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়ে যাওয়ার আশা রয়েছে। দিল্লি, কলকাতা থেকে তাই জানানো হয়েছে। মোট জমির মধ্যে ৯৪ একর চা বাগানের লিজ় জমি ছিল। সেটিকে রাজ্য ফিরিয়ে নিয়ে এএআইকে দেবে। সেই প্রক্রিয়ায় একটু দেরি হয়েছে। বাকি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, বায়ু সেনা এবং রাজ্য সরকারের জমির ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল না। সাংসদ বলেছেন, ‘‘বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের তৈরি হবে। কেন্দ্র অনুমোদন দিয়েছে। রাজ্যের কাছে আবেদন রাজনীতির উপরে উঠে জমি হস্তান্তর দ্রুত করা হোক।’’ যদিও এ দিনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বাগডোগরায় অন্তর্দেশীয় বিমানের সিকিউরিটি চেকইনের জন্য ৩টি কাউন্টার রয়েছে। আর দু’টি রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য। এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেস বিধায়ক প্রস্তাব দেন, যখন আন্তর্জাতিক বিমান থাকছে না অন্তর্দেশীয় বিমানের জন্য পাঁচটি কাউন্টার একসঙ্গে ব্যবহার করা হোক। বিমানবন্দর অধিকর্তা বলেন, ‘‘কলকাতার পরে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে লাভজনক বিমানবন্দর বাগডোগরা। তাই পরিকাঠানো বাড়ানোর দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy