—ফাইল চিত্র।
চা শ্রমিকদের বোনাসের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হল পাহাড়ে। শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো ১০ দিনের মধ্যেই দেওয়া হবে বোনাসের ৬০ শতাংশ টাকা। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা কবে দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে আর একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেওয়া হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আর এর মধ্যেই নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ২৩টি চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথমঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম।
শনিবার দার্জিলিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ফোরামের নেতা সমন পাঠক বলেন, ‘‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেটা না হলে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব।’’ এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএম, জাপ, গোর্খালিগ, জিএনএলএফের চা শ্রমিক নেতারা থাকলেও ছিলেন না বিনয় তামাংপন্থী মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠনের কেউ। বোনাস আন্দোলনের সময় তৈরি সাত সংগঠনের যৌথ কমিটিতে বিনয়পন্থী মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠনও ছিল। এ দিন তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। যদিও বিনয়পন্থী মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা জেবি তামাং জানিয়েছেন তাঁরা কলকাতায় থাকায় এদিন জয়েন্ট ফোরামের আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। যৌথভাবেই তাঁরা শ্রমিক আন্দোলন করবেন।
বোনাসের আন্দোলন শুরু করেছিল যৌথ কমিটি। কমিটির নেতারাই প্রথম অনশনে বসেন। তাদের ডাকেই পালিত হয় বনধ। কমিটির অনশন শেষ হলে মোটরস্ট্যান্ডে তাদের মঞ্চেই অনশন শুরু করেন বিনয়। তবে মালিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি মেনে নেওয়ার পরই বিনয়পন্থীরা পাহাড় জুড়ে প্রচার শুরু করেন বিনয়ের অনশনের জন্যই বোনাস আন্দোলন সাফল্য পেয়েছে। সেই প্রচারকে তাঁরা যে ভাল চোখে দেখছেন না, সেটা এদিন অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন মোর্চা বাদে যৌথ কমিটিতে থাকা অন্য দলের নেতারা। সিটু নেতা সমন পাঠক বলেন, ‘‘শ্রমিকদের আন্দোলনের সাফল্যকে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য ব্যবহার করা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে শ্রমিক আন্দোলনের মুনাফা নিতে দেব না। আমরা আশা করব বিনয়পন্থী মোর্চার চা শ্রমিক নেতারাও আমাদের সঙ্গে সহমত হবেন।’’ জাপ নেতা অমর লামা বলেন, ‘‘বোনাস নিয়ে শ্রমিক আন্দোলনের জয় হয়েছে। এখন রাজনৈতিক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়েও কেউ কেউ রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তা হলে ফের আন্দোলন হবে। রাজনৈতিক ভাবে শ্রমিক আন্দোলনকে পরিচালিত করার চেষ্টা হলে পাহাড়ে যে শান্তিপূর্ণ ঐকবদ্ধ লড়ায়ের রাস্তা খুলছিল সেটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’’ বিজেপির পাহাড় কমিটির সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘‘দুই কিস্তির ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সমস্যা জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে চাইছে বিনয়রা।’’ যদিও বিনয়পন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা বলেন, ‘‘একমাত্র বিজেপি ছাড়া সব দল বোনাস আন্দোলনে একজোট ছিল। কাজ না করে রাজনীতি করা বিজেপির কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy