Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪

জলপাইগুড়িতেও পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে চাপানউতোর তৃণমূলে

খানিকটা নজিরবিহীন ভাবেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তালিকা দিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঢের আগে থেকেই জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের নানা গোষ্ঠী, নেতাদের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৭
Share: Save:

খানিকটা নজিরবিহীন ভাবেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তালিকা দিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ঢের আগে থেকেই জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের নানা গোষ্ঠী, নেতাদের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। সে কারণেই ক্ষোভবিক্ষোভ এড়াতে দলের তরফে কোনও সভা করে আনুষ্ঠিক ভাবে প্রকাশ না করে, প্রার্থী তালিকা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে হাতে বিলি হয়েছে বলে দলেরই একাংশ অভিযোগ তুলেছে। রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে তালিকা বিলি করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পরেই তৃণমূলের দলের অন্দরে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে।

দলের প্রবীণ নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মী সমর্থকদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে সদ্য দলে আসা নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ দিকে। এদিন বিকেলে সভা করে জলপাইগুড়ি এবং মালবাজার পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

তালিকা প্রকাশের পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভের অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন প্রার্থীদের নিয়ে সভা হবে। কোন ওয়ার্ডে কে প্রার্থী হয়েছেন, সেটা রবিবার ঢাকঢোল না পিটিয়ে সাধারণ ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এখনে কিছু গোপন করার বিষয় নেই।”

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন

তালিকা দেখার পরে তাঁরা ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছেন। যেমন, প্রদেশ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “জীবনে প্রথম কোনও ভোটে প্রার্থী তালিকা চুপিচুপি প্রকাশ করতে দেখলাম। তালিকায় পুরনো তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে সদ্য দলে আসা লোকজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কেমন করে কোন নেতার নির্দেশে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ, সোমবার দলনেত্রীর কাছে চিঠি পাঠাব।”

যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, কোন নেতার নির্দেশে ঘরে বসে তালিকা তৈরি করা হয়নি। বুথ স্তর থেকে উঠে আসা নাম থেকে প্রদেশ নেতৃত্ব তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষকের মতো অনেক নতুন মুখ আছে। তালিকা দেখে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “তালিকা বামফ্রন্টের লোকজনের নামে ভরা।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন জেলা নেতৃত্ব প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে তালিকা প্রকাশ করলেন না? কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন?” একই প্রশ্ন উঠেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের নিচু তলার কর্মী মহলেও। আজ, সোমবার বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি চলছে। এমনকি নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও ভাবছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

এদিকে প্রার্থী তালিকা প্রাকাশের আগে ২৪ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীদের প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করার ঘটনা নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রবিবার সকাল থেকে ওই দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচারে নামেন। দলের শ্রমিক নেতা বিকাশ মালাকার অভিযোগ করে বলেন, “তালিকা প্রকাশের আগে কেমন করে ওই দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থীরা প্রচারে নামলেন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy