ইটাহারে কংগ্রেসে যোগদান। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার দাবি করল কংগ্রেস। যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে, এ দিন যাঁরা যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে, তাঁরা তাদের দলের কেউ নন।
ইটাহারের ‘উল্কা’ ক্লাবের মাঠে এ দিন কংগ্রেসের তরফে ‘রাজনৈতিক সেমিনার’ ও ‘যোগদান’ মেলার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ছাড়াও, ছিলেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আজহার মল্লিক, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম প্রমুখ। এ দিন প্রদেশ কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা কৌস্তভ বাগচির আসার কথা থাকলেও, তিনি আসেননি।
মোহিতের দাবি, “ইটাহার ব্লকে তৃণমূলের চার হাজার নেতা, কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ওঁরা সকলেই ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যের অনুগামী। অমলবাবুও কিছু দিন পরে কংগ্রেসে যোগ দেবেন।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে ইটাহারের তৎকালীন বিদায়ী বিধায়ক অমলকে প্রার্থী করেনি দল। সে ক্ষোভে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনের পরে, আবেদন করা সত্বেও অমল এবং তাঁর অনুগামীদের দলে ফেরায়নি তৃণমূল। এর পর থেকে অমল রাজনীতিতে সক্রিয় নন। অমল এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে দল বদল করতে চাওয়া তাঁর অনুগামীদের তৃণমূল ফেরত নেয়নি, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের দাবি, “সভায় ৩০-৪০ জন বিজেপির কর্মী কংগ্রেসে দিয়েছেন। ইটাহারে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয়নি।”
তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে এ দিন পঞ্চায়েত ভোটে বিহার থেকে দুষ্কৃতী আনার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোহিতের বিরুদ্ধে। মোহিত বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে ইটাহারে তৃণমূল ভোট লুট ও সন্ত্রাস করতে আগের মতো কালিয়াচক থেকে দুষ্কৃতী আনলে, কংগ্রেসও কিসানগঞ্জ থেকে দুষ্কৃতী এনে মারের বদলে মার দেবে।” মোশারফের অভিযোগ, “ইটাহারে রাজনৈতিক অস্তিত্বহীন মোহিতবাবুরা হতাশায় পঞ্চায়েত ভোটে গোলমাল করার ছক করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy