আত্রেয়ীর ঘাটে মাটির প্রদীপ ডাঁই করে রাখা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির তরজায় সরগরম বালুরঘাট। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আত্রেয়ী ঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান করেছিল বিজেপি। প্রায় দুমাস ধরে ঘাটে স্তূপ হয়ে পড়ে ব্যবহৃত লক্ষ প্রদীপ।
বুধবার জেলার তৃণমূল নেতা, বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘‘রামচন্দ্র আমাদের দেবতা। সবার দেবতা। তাঁকে উৎসর্গ করা প্রদীপগুলি ব্যবহারের পর সরানোর নৈতিক দায়িত্ব বিজেপির রাজ্য সভাপতিরই ছিল।’’ ধর্মের নামে রাজনীতি করতেই বিজেপির ওই কর্মসূচি ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। পাল্টা সুকান্ত বলেন, ‘‘মাটির প্রদীপ মাটিতেই মিশে যায়। ওই কর্মসূচির পরেই নদীর ঘাট সাফ করে প্রদীপগুলি জড়ো করে রাখা হয়। তা তুলে অন্যত্র সরানোর দায়িত্ব পুরসভার।’’ ওই কাজ না করার ব্যর্থতা ঢাকতেই তাঁরা রাজনীতি করতে নেমেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন সুকান্ত।
অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২২ জানুয়ারি বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর সদরঘাটে রামপুজো, যজ্ঞ এবং সন্ধ্যায় লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা বিজেপি। পরদিন সুকান্তের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা সাফাই অভিযান করেন। প্রদীপগুলোকে ঘাট থেকে উঠিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়। কিন্তু গত দু’মাসেও সেই স্তূপ সরানো হয়নি। ফলে পরিবেশ দূষণ রোধ এবং স্বচ্ছ ভারত পরিকল্পনাকে বিজেপি ব্যর্থ করেছে বলে অভিযোগ করেন পুর-পারিষদ মহেশ পারখ। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘নোংরা করা ছাড়া বিজেপির কোনও কাজ নেই।’’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার পুর কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে অভিযোগ করেন, ‘‘ওঁরা মুখে রামকে দেবতা বললেও তাকে উৎসর্গ করা মাটির প্রদীপ অচ্ছুৎ করে ফেলে রেখেছেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)