Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে গতি এল কাজে 

এখনও জমির নথিপত্রের প্রক্রিয়া চলছে শোনার পরে তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই চিহ্নিত করা চা বাগানের জমির লিজ ফেরৎ, দাম, ক্ষতিপূরণ-সহ নথিপত্র তৈরির প্রক্রিয়া নতুন করে গতি পাবে বলে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) অফিসারেরা মনে করছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৮
Share: Save:

বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরির জন্য দ্রুত জমির ব্যবস্থা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ফের শুরু হল প্রশাসনিক তৎপরতা। পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরের পরে ২৫ অক্টোবর কলকাতা ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতার বিমান ধরার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাগডোগরা বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণি পি’কে ডেকে নতুন জমির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এখনও জমির নথিপত্রের প্রক্রিয়া চলছে শোনার পরে তিনি জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই চিহ্নিত করা চা বাগানের জমির লিজ ফেরৎ, দাম, ক্ষতিপূরণ-সহ নথিপত্র তৈরির প্রক্রিয়া নতুন করে গতি পাবে বলে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) অফিসারেরা মনে করছেন।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ১০৪ একর জমি চিহ্নিত করার পরে রাজ্য পরিবহণ দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে জমির ‘চরিত্র’ বদলের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রস্তাবিত জমির অধিকাংশ একটি চা বাগান গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে বাগানের লিজ তুলে নিয়ে ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা ঠিক করা হবে। এএআই চলতি বছরেই বাগডোগরার জমির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। যা দেশের মধ্যে প্রথমবার। শেষ অবধি, সব চূড়ান্ত হলে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য যাবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এ বছরের শেষ অথবা নতুন বছরের গোড়ায় রাজ্যের তরফে এএআই-কে জমি হস্তান্তর করা হতে পারে।

বিমানবন্দর অধিকর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি আছি। জমি হস্তান্তর হলে কাজ হবে। এ বারের উত্তরবঙ্গে সফর শেষ করে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি খোঁজ নিয়েছে। উনি, বিষয়টি দেখবেন বলে গিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, দ্রুত কাজ হবে।’’

বাগডোগরা বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা গত মার্চ মাসে ২৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়ে‌ছে। সদ্য ঘোষণা হওয়া শীতকালীন বিমানসূচিতে ৩৫ জোড়া বিমান আগামী মার্চ অবধি রোজ বিমানবন্দর থেকে চলাচল করবে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি এই ৭০টি বিমানকে নামানো

ওঠানোর জেরে টার্মিনালের যা পরিস্থিতি হচ্ছে, তাতে নতুন গন্তব্যের বিমান চালু বা পুরনো গন্তব্যের বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিমান সংস্থাগুলির আবেদন এএআই কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এএআই-র কয়েকজন অফিসার জানান, অত্যাধুনিক ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম চালু হয়েছে। টার্মিনাল ভবনের যা আয়তন তাতে নতুন টার্মিনাল ভবন, পার্কিং বে এখনই দরকার। ঘণ্টায় টার্মিনালে ৭০০ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও তা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এতে বারবার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নতুন টার্মিনাল ভবন না হলে বাগডোগরা বিমানবন্দরের আরও আধুনিকীকরণ বা নতুন গন্তব্য জোড়া সম্ভব হচ্ছে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Bandyopadhyay Bagrdogra Airport Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy