প্রতীকী চিত্র।
ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে।
বুধবার দুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা কুমারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বছর ছত্রিশের ওই যুবক বিবাহিত। নির্যাতিতার বাড়ির কাছেই তাঁর বাড়ি। তবে অভিযুক্তের পরিবার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কয়েক দিন আগে কুমারগঞ্জ থানা এলাকায় গণধর্ষণের পরে খুন করে এক তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কড়া পদক্ষেপ করতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন নির্যাতিতা কিশোরীকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। শুক্রবার তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
নির্যাতিতার বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মেয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বসেছিল। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে একটি পুকুরের ধারে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসে। অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই বিক্ষোভের আশঙ্কায় কুমারগঞ্জ থানা নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। থানার মূল গেটের সামনে বসানো হয় লোহার ব্যারিকেড। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ তল্লাশিতে নামলেও এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁর হদিস মেলেনি।
ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পৌষ সংক্রান্তিতে তার বাবা ও ঠাকুরমা বৈদ্যনাথধাম সংলগ্ন আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই কিশোরী ও তার মা বাড়িতে ছিলেন। ঠান্ডার জন্য বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে রোদ পোহাচ্ছিল ওই কিশোরী। তার মা বাড়িতে রান্না করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবেশী ওই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
কয়েক দিন আগে কুমারগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত চার্জশিট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই একই থানা এলাকায় ফের কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy