পদক্ষেপ: ঝামেলা থামাতে ব্যস্ত পুলিশ বাহিনী। নিজস্ব চিত্র।
এলাকার দখল নিয়ে ফের উত্তপ্ত এনজেপি চত্বর। সোমবার সকালে স্টেশনের কাছে ট্রাকস্ট্যান্ডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হামলায় আহত হন এক পুলিশ কর্মী। শেষমেষ লাঠিচার্জ করে এলাকা শান্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার ৭ জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সকাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বিবাদ শুরু হয়। দিনদুয়েক আগে জয়দীপ নন্দী তৃণমূলে আসতেই একসময় তাঁর অনুগামীদেরও এ দিন এলাকায় দেখা যায়। সকাল থেকে লাঠি, লোহার রড, পাথর মজুত করা হয়েছিল এলাকায়। এনজেপি থানার পুলিশের সামনে লাঠি নিয়ে হামলা হয়। হামলায় জখম হন এক কনস্টেবল। লাঠির ঘায়ে তাঁর হাত ভেঙেছে বলে খবর। ওই পুলিশ কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। এর পর এলাকা শান্ত করতে এনজেপি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। পরে এলাকা পরিদর্শনে যান ডিসিপি জয় টুডু, এসিপি শুভেন্দ্র কুমার।
মহম্মদ আলাউদ্দিন নামে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, “প্রসেনজিৎ রায়ের লোকজন গাড়িতে করে লাঠি নিয়ে এসেছিল। হামলা করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের উপর।” যদিও পরে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে কিছু যুবক পাল্টা হামলা করে অন্য গোষ্ঠীর উপর। ঘটনার পর এলাকা ছাড়েন আলাউদ্দিন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জয়দীপ নন্দী। যদিও প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “আমাকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কারের পর এনজেপি স্টেশন চত্বরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কে বা কারা কেন এই হামলা করেছে জানা নেই। কিন্তু এতদিন তো এলাকা শান্ত ছিল। এখন কেন অশান্ত হল তা পুলিশ খোঁজ করলেই জানতে পারবে।”
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি নির্জ্জল দে বলেন, “পুলিশকে জানানো হয়েছে ঘটনার তদন্ত করতে। পুলিশের রিপোর্ট দেখে দলগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাত অবধি দুই গোষ্ঠীর ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে এনজেপি থানা। তদন্ত চলছে ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজ চলছে বলে জানান ডিসিপি জয় টুডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy