অসমাপ্ত: মালদহ টাউন রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি শেড সংস্কার চলছে। নিজস্ব চিত্র
১৯৮২ সালে নতুন করে তৈরি করা মালদহ রেল স্টেশন ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী গনি খান চৌধুরী। অভিযোগ, অনেক বছর পেরিয়ে গেলেও সেটির ঢালাও সংস্কার করা হয়নি।
শনিবার রাতে বর্ধমান স্টেশনের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনার জেরে মালদহ টাউন রেল স্টেশনের ভবন নিয়েও সংশয় ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ওই স্টেশন ভবন কতটা সুরক্ষিত?
শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, প্রতি বছরই ওই ভবন সংস্কার বা রং করা হলেও বাস্তবে সেটি বেহাল। ভবনের কয়েকটি অংশে ফাটল রয়েছে। সে সব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। প্ল্যাটফর্মে শেডগুলিও ঠিকঠাক নেই। স্টেশনের প্রথম ফুটব্রিজ সংস্কারের নামে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। ‘চলমান সিঁড়ি’ উদ্বোধন করা হলেও তা বেশির ভাগ সময় বন্ধই থাকে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কায় গঙ্গা নদীতে রেল সেতু তৈরি হওয়ার পরে ১৯৭১ সাল নাগাদ মালদহ টাউন রেল স্টেশন চালু হয়। ওই স্টেশন ঘিরে ১৯৭৫ সালে পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশন গঠিত হয় মালদহে। ১৯৮২ সালে নতুন করে তৈরি মালদহ রেল স্টেশনের ভবন তৈরি করা হয়। ওই বছরেরই ১২ ডিসেম্বর সেই নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী গনি খান চৌধুরী। রেল সূত্রে খবর, এই স্টেশন দিয়ে প্রতি দিন প্রায় ৪০ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করে। প্রতি দিন গড়ে পাঁচ হাজার মানুষ স্টেশনে যাতায়াত করেন।
যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে মালদহ রেল স্টেশনকে ‘মডেল স্টেশনের’ তকমা দেওয়া হলেও স্টেশন ভবন পুরো সংস্কার হয়নি। তার জেরে ওই ভবনের অনেক অংশ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মের শেডগুলির অবস্থাও ভাল নয়। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেডের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বর্ষাকালে জল পড়ে। দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের একাংশ সংস্কারের কাজ চলছে। ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নতুন করে তৈরি করা হলেও শেড পুরোপুরি তৈরি হয়নি। স্টেশনের প্রথম ফুটব্রিজের সংস্কারের কাজে ঢিলেমি রয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েক মাস ধরে ফুটব্রিজ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে বাকি দু’টি ফুটব্রিজের একটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এবং অন্যটির সংস্কার করা হয়েছে।
জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির অভিযোগ, বর্ধমান স্টেশনের একাংশ যে ভাবে ভেঙে পড়েছে, সেই একই ঘটনা মালদহ স্টেশনেও ঘটতে পারে। কারণ ১৯৮২ সালের পরে ওই স্টেশন ভবনের ঢালাও সংস্কার করা হয়নি।এ নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার দিলীপ চৌহান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy