উর্দি পরে গাড়ি ভাঙচুরের এই ছবিই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (ডান দিকে) মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরে জ্বলছে পুলিশের গাড়ি। বুধবার। ছবি: অভিজিৎ সাহা
বন্ধের দিন মালদহের সুজাপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করল সিআইডি। সেই ভিডিয়োর সত্যাসত্য অবশ্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিয়ো ফুটেজে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উর্দি পরা পুলিশ ও র্যাফের কনস্টেবলদের প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে ফুটেজটি পরিষ্কার না থাকায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্তারা। যদিও ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ তদন্তকারী সিআইডি কর্তা ডেভিড ইভান লেপচা।
শুক্রবার মালদহের পুলিশ অফিসে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন ডেভিড ইভান লেপচা। এ দিন প্রায় দু’ঘন্টা ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিন্দম সরকার, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথের সঙ্গে পৃথক ভাবে কথা বলেন তিনি।
এ দিকে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিনই সুজাপুরের বাসিন্দা ধৃত দুই যুবককে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে প্রাথমিক ভাবে ৩৩ জনের নামে মামলা রুজু হয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মালদহের বাম-কংগ্রেস নেতারা।
এ দিন দুপুরে দুই দলের জেলা নেতারা মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। মালদহের কংগ্রেস জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “পুলিশ ঘটনায় সাধারণ মানুষের নাম জড়িয়ে দিয়ে গ্রেফতার করেছে। অথচ, পুলিশ, র্যাফের উর্দি পরে গাড়ি ভাঙচুরের ভিডিয়ো আমরা সবাই দেখেছি।”
পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। তিনি বলেন, “পুলিশ যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তাতে এখন মনে হচ্ছে, গাড়িগুলিতে আগুনের পিছনেও ষড়যন্ত্র রয়েছে।” তাঁর সুরেই সুর মিলিয়েছেন মালদহের সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “ঘটনায় আমাদের কিংবা কংগ্রেসের কেউ থাকলে আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করব। তবে এখানে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। এই জামানায় অনেক সিআইডি তদন্ত দেখেছি।”
বাম ও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মালদহের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রথম থেকেই তদন্ত শুরু করেছে। বাম ও কংগ্রেস নেতারা অহেতুক ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।”
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বন্ধের দিনের দুটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সাধারণ মানুষের গাড়ি উর্দি পরে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত শুরু করেছে।” মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “তদন্তে সিআইডিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমাদেরও বিভাগীয় তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy