চণঅডীর আরাধনা খাদিমপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
কোথাও উৎসব সারা। কোথাও আবার শুরু। দুর্গাপুজো শেষ, তবে রায়গঞ্জের খাদিমপুরে উৎসবের মেজাজ। সেখানে শুরু হয়েছে বলাইচণ্ডীর পুজো।
দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে এক দিকে যখন বিষাদের সুর, ঠিক সেই সময়েই পুজো শুরু হল রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে। বিজয়া দশমী তিথিতে সেখানে দেবীর বোধন। রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি দুই নম্বর পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দারা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য। দশমীর রাত থেকে ওই পুজো চলে দ্বাদশী পর্যন্ত। প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। এখানে দেবীর চার হাত। অসুর থাকে না প্রতিমায়। তবে প্রতিমার পাশে থাকে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক এবং সরস্বতীর মূর্তি। রীতি অনুযায়ী, গ্রামের বাসিন্দারা যাতে বছর ভর পূজার্চনা করতে পারেন সে জন্য প্রতিমা বিসর্জন না দিয়ে রেখে দেওয়া হয় মন্দিরে। পরে বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন পুরনো প্রতিমার বিসর্জন হয়। এর পর শুরু হয় নতুন প্রতিমা নির্মাণের কাজ।
খাদিমপুরের বাসিন্দা পরেশ বর্মণ বলেন, ‘‘দশমীতে পুজো শুরু হয়। আড়াইশো থেকে তিনশো বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। চণ্ডীর মূর্তিতে অসুর নেই। চারটি হাত।’’ ওই গ্রামেরই আর এক বাসিন্দা প্রদীপ বর্মণ বলেন, ‘‘যে ভাবে আমাদের বাপ-ঠাকুরদা পুজো করে আসছেন, তেমন ভাবে আমরাও পুজো করছি। আমরা এই সময়ে আনন্দে মেতে উঠি।’’ প্রতি বছর শারদোৎসব শেষের অপেক্ষায় থাকে এই খাদিমপুর গ্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy