—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটের জন্য নেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন কলেজ ক্যাম্পাস। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও নিরাপত্তার বজায় রাখার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হয়েছে একাধিক জায়গায়। এখনও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং তাদের সরঞ্জাম রয়েছে গিয়েছে। এর ফলে একাধিক কলেজের ক্যাম্পাস খালি করা যায়নি। আগামী ২৫ জুন থেকে কলেজগুলোতে দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। সোমবারের মধ্যে বাহিনী কলেজ না-ছাড়লে বা বিকল্প ব্যবস্থা না হলে বাধ্য হয়ে পরীক্ষা পিছোতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানানোর কথাও ভেবেছেন তাঁরা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় অস্থায়ী রেজিস্ট্রার তথা পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্তকেই সব দেখতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অনেক কলেজ থেকেই এখনও সেনবাহিনী যায়নি। তাতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা। কলেজগুলো থেকে আমাদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। রবিবার রাতের মধ্যে সমস্যা না মিটলে আজ, সোমবার পরীক্ষা স্থগিতের কথা ঘোষণা করতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রয়োজনে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরকেও জানাব বলে আমরা ঠিক করেছি।’’ শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক অবোধ সিংহল বলেন, ‘‘কলেজ থেকে সেনা জওয়ানদের সরানোর বিষয়টি দেখতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
শিলিগুড়ি কলেজ, শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ, বাগডোগরা কলেজ-সহ অনেক কলেজেই গত ৯ জুন থেকে ভোট পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হয়েছে। স্থানীয় থানার তরফে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরীক্ষার কথা জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২২ জুনের মধ্যে ক্যাম্পাস খালি করতে বলেছিল। অথচ, রবিবার পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বাহিনী রয়েছে। যেখানে বাহিনী রয়েছে সেই অংশ খালি না করলে পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সে কথা জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও।
শিলিগুড়ি কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয়, চতুর্থ এবং চূড়ান্ত তথা ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। তাদের কলেজে পাঁচ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। কলেজের একাংশে বাহিনী গত ৯ জুন থেকে রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও কলেজ ছাড়েনি। একাংশ আটকে তারা রয়েছে। তাতে পরীক্ষার জন্য জায়গা সঙ্কুলান হবে না। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
শিলিগুড়ি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত দেবনাথ বলেন, ‘‘কলেজে বাহিনী থাকায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। ক্লাসের চেয়ার-টেবিলও অনেকে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশকে বললেও পুলিশ কিছু করছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy