বেহাল: মনোরা যাওয়ার রাস্তা কঙ্কালসার। চাকুলিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
চাকুলিয়ার কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ রাস্তাই বেহাল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এর মধ্যে মনোরা জাতীয় সড়ক হয়ে মনোরা গ্রাম ও অন্য দিকে হাটোয়ার যাওয়ার রাস্তার অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই। অভিযোগ, রাস্তা দিয়ে গ্রামে গাড়ি ঢোকে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহু বার জানানো হলে কোনও পক্ষই কোনও পদক্ষেপ করেনি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কবে এই নরক-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সব থেকে বেশি সমস্যা বর্ষাকালে। অল্প বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় পথচারী ও স্কুল পড়ুয়াদের। গ্রামের রাস্তার এমন অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকে না, অগত্যা রোগীদের কাঁধে করে এক কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে তবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পাশাপাশি, বেহাল রাস্তার কারণে মাঠে উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন চাষিরাও। মনোরার তৌহিদ আলম বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য প্রায়ই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।’’ হাটোয়ারের মুকবল হোসেনও বলেন, “রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ কবে হয়েছিল তা মনে পড়ে না।“ স্থানীয় বাসিন্দা ও কংগ্রেস নেতা আবসার আহমেদ বলেন, “গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে মেরামত হয়নি। কঙ্কালসার রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হয়।’’
বেহাল রাস্তার কারণেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য সাহিদ সিদ্দিকিকে। বাসিন্দারা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ভোট আসে, ভোট যায়। নেতারা আশ্বাস দেন। তবে ভোট মিটতেই উধাও হন তাঁরা। তাই আর রাস্তা ঠিক হয় না। সাহিদের দাবি, “দীর্ঘ দিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে প্রাপ্য অর্থ না মেলায় রাস্তার কাজ থমকে ছিল। তবে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ওই দুই বেহাল রাস্তার কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’ গোয়ালপোখর ২ পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি আনোয়ার আলম বলেন, “অধিকাংশ এলাকায় রাস্তাঘাটের সমস্যা মিটেছে। বেহাল রাস্তা সংস্কারে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।" বিডিও শ্যামল মণ্ডল বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখে রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy