উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে দ্বারভাঙার একটি উড়ালপুলে বাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে দুই পুণ্যার্থীর। জখম হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। মৃত এবং জখমেরা সকলেই শিলিগুড়ি এবং তার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিহারের দ্বারভাঙার কারকারাঘাট এলাকার একটি উড়ালপুলের উপরে পুণ্যার্থী বোঝাই বাসটি উল্টে যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনাস্থলেই ছনয়ামা থাপা (৬৪) এবং বিশাখারানি রায় (৬২) নামে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থেকে ৪০ জন পুণ্যার্থী ওই বাসে করে রওনা দেন। কাশী, বৃন্দাবন এবং অযোধ্যা ঘুরে এ দিন শুক্রবার বাসটির শিলিগুড়িতে ফেরার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দুর্ঘটনার পরে জখমদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে শুক্রবার ভোর থেকে সকলকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৮ জন জখম পুণ্যার্থীকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ভোর রাতে ঘন কুয়াশার কারণে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ৫৭ নম্বর জাতীয় সড়কে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, বুধবার সন্ধ্যের পর থেকেই সেই এলাকা কুয়াশায় ঢাকা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার সময়ে চালকের পরিবর্তে সহকারী বাস চালাচ্ছিলেন। সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে বাসচালক এবং সহকারীর খোঁজ মিলছে না।
এ দিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তীর্থযাত্রার উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভও জানিয়েছেন আহতদের পরিজনেরা। শিলিগুড়ির মাটিগাড়া এলাকার বাসিন্দা যোগীন্দ্র কর্মকার তীর্থযাত্রার আয়োজন করেছিলেন। তিনি নিজেও বাসে ছিলেন। এ দিন যোগীন্দ্রবাবু দাবি করেন, ‘‘সকল যাত্রীর বিমা করানো রয়েছে। সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের থেকেই অনুমতি নিয়ে বাস যাত্রা শুরু করা হয়েছিল।’’ বাসটি বহরমপুর থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলে যোগীন্দ্রবাবু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy