বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে।
রাস্তায় বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। শনিবার বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলে ও পূত্রবধূর বিরুদ্ধে। তাঁদের আটকও করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মায়ের ভরণ-পোষণ না করতে হয়, তাই এই খুন।
মৃতার নাম সুভদ্রা রায়। বয়স ৭৮। স্থানীয়দের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরেই মা সুভদ্রার উপর অত্যাচার চালাতেন ছেলে গোপাল রায় ও তাঁর স্ত্রী শিল্পী রায়। প্রতিবেশীরাও একাধিক বার তাঁদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মা-কে পুড়িয়ে মারেন গোপাল আর শিল্পী। তার পর ওই দগ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে রেখে আসেন তাঁরা। সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
এলাকায় বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াতেই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন গোপাল ও শিল্পী। সেই সময় তাঁদের ধরে ফেলে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। মামনি দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আগুনে পোড়া দেহ রাস্তায় পাওয়া গিয়েছে, সকালে এই খবর শুনে শিউরে উঠেছিলাম। আমরা ছুটে এসে দেখি, গোপাল আর ওর বউ পালানোর চেষ্টা করছে। আমরাই ওদের হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’’
আর এক প্রতিবেশী বাবলু বিশ্বাস বলেন, "কয়েক দিন আগে পুরভোটের প্রচার চলাকালীন গোপালদের বাড়ি থেকে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। আমরা ছুটে এসে দেখি, মা-কে ঘরে থাকতে দেবে না বলে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে গোপাল আর তার বউ। এক টোটো চালক বৃদ্ধাকে পাশের পাড়ায় তাঁর মেয়ের বাড়ি রেখে আসেন। পরে শুনেছি, মেয়েও মা-কে তাঁর বাড়িতে রাখতে না চাওয়ায় আবার বাড়ি ফিরে এসেছিলেন বৃদ্ধা। তার পরেই এই ঘটনা ঘটল।’’
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গোপাল আর শিল্পীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের। পুলিশের অনুমান, ছেলের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মা। তাই তাঁকে খুন করেছেন ছেলে আর তাঁর বউ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার আরও এক ছেলে শঙ্কর রায়কে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি শিলিগুড়িতে থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy