ছাউনিতে ঝুলন্ত দেহ। নিজস্ব চিত্র
পাচারকারী সন্দেহে আটক এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বিএসএফ ছাউনির একটি ঘর থেকে। সোমবার সকালে ওই অভিযোগ ওঠে বালুরঘাট থানার গোপালবাটি অঞ্চলের কুমারগ্রাম সীমান্তে।
ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বিএসএফ জওয়ানদের মারধর ও অত্যাচারেই অলোক বর্মণের (২০) মৃত্যু হয়েছে। বিএসএফের দাবি, ওই যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালবাটি অঞ্চলের তাহেরচক এলাকার বাসিন্দা অলোক। তাঁর পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিবার মাঠে চাষ করার সময় ১৯৯ ব্যটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান। সোমবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপরেই কয়েকশো গ্রামবাসী ওই ছাউনির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানা ও পতিরাম ফাঁড়ির বিরাট পুলিশ বাহিনি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যেতে গেলে গ্রামবাসীদের ‘বাধার’ মুখে পড়ে। ঘটনাস্থলেই বিএসএফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার। নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
অলোকের মামা উজ্জ্বল বর্মণের অভিযোগ, তাঁর ভাগ্নে জমিতে কাজ করছিল। সন্দেহের বশে বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। রাতে ছাউনিতে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই অলোকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ভাগ্নের দেহে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ডিএসপি ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’ বিএসএফে মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি তেজেন্দ্র পালসিংহ সিধুর অভিযোগ, ‘‘ওই যুবক পাচারকারী। বাংলাদেশে পাচারের সময় তাঁর কাছে এক হাজার বোতল নিষিদ্ধ কাফসিরাপ ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়।’’ তিনি জানান, তাঁকে কুমারগ্রাম বর্ডার আউটপোস্টের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। ঘরে একা থাকার সময় ওই যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ডিআইজি দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy