পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির অভিযোগ, কাটমানি নিয়েছেন সভাপতি। সহ সভাপতির বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি। আর ওই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে দফতরের মধ্যেই ধুন্ধুমার কান্ড বাঁধল! ভাঙচুর করা হল সরকারি সম্পত্তিও। নষ্ট করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও বলে অভিযোগ। আবার হামলা করার আগে দফতরে বসেই মদ ও বিরিয়ানি খেয়েছেন দলের কর্মীরা, একে অন্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও তুলেছেন।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে! নিজের দফতরের পাশে দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার কাণ্ডে ছুটে যান বিডিও। পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনীও। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সন্ধেয় তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা ও নিগ্রহ করা হয়েছে বলে সহ সভাপতি ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা সভাপতি। শাসক দলেরই সভাপতি ও সহ সভাপতি প্রকাশ্যে এ হেন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়েছে।
বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে। ফলে প্রশাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’ আর মদ খাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দফতরে কোথায় কী হচ্ছে, আমার পক্ষে তার উপরে সারাক্ষণ নজরদারি চালানো সম্ভব নয়।’’
প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি টাকার মধ্যে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস ও কয়েক জন নেতা আত্মসাৎ করেন বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সহ সভাপতি ফ্যাশান আলি। তা নিয়ে সভাপতির গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। তারপর এদিন সহ সভাপতি গীতাঞ্জলি প্রকল্প, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে কাটমানি নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাঁর দফতরে চড়াও হন উপভোক্তাদের একাংশ। আর তারপরেই দু’পক্ষে ধুন্ধুমার বেধে যায়। একটি ঘরে একাধিক বিরিয়ানির প্যাকেট ও মদের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে সূত্রের খবর।
সভাপতি কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমাদের কেউ হামলা করেনি। বহু মানুষের কাছে সহ সভাপতি নানা প্রকল্প দেওয়ার নাম করে কাটমানি নিয়েছেন। তাঁরাই এ দিন তাঁর কাছে এসে জবাব চাইতেই তিনি ও তাঁর দলবল উল্টে তাণ্ডব চালান। আমাকে নিগ্রহ করা হয়।’’ যদিও ফ্যাশান আলি বলেন, ‘‘বন্যাত্রাণের টাকা থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলায় পরিকল্পিত ভাবে দফতরে এসে হামলো করা হয়েছে। তার আগে সভাপতির লোকজনই মদ-বিরিয়ানি খেয়ে হামলা করে।’’ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, ‘‘কী হয়েছে খতিয়ে দেখা হবে। অন্যায় করলে কেউ পার পাবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy