আত্মঘাতী কিশোর। —নিজস্ব চিত্র।
২৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল কিনে দিতে বলেছিল পুত্র। দাবি পূরণ করতে পারেননি দরিদ্র বাবা-মা। অবশেষে অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হল সে। এমনটাই দাবি মৃতের পরিবারের। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত কিশোরের নাম দীপঙ্কর তরফদার (১৭)। নন্দনপুরের ঠ্যাঙাপাড়া হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
দীপঙ্করের পরিবার সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরেই বাবা-মার কাছে দামি মোবাইল কিনে দেওয়ার দাবি করছিল সে। তবে বাবা-মা পুত্রের সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি। তার বদলে ছেলেকে কম দামের একটি মোবাইল কিনে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু দীপঙ্কর তাতে রাজি হয়নি। পরিবারের দাবি, এর পরেই মনের দুঃখে গত ৪ জুন ঠ্যাঙাপাড়া এলাকার একটি সারের দোকান থেকে বিষ কিনে খেয়ে নেয় সে। বাড়ি ফিরে সার খেয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিজেই জানায়। এর পরেই তড়িঘড়ি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয় তাকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গত ৬ জুন তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ ২২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বুধবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দীপঙ্করের।
এ প্রসঙ্গে মৃতের মা বলেন, ‘‘আমাদের এসে বলেছিল ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ফোন কিনে দিতে হবে। আমরা বললাম ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফোন কিনে দেব। রাজি হয়নি। এর পর ঠ্যাঙাপাড়ার একটি দোকান থেকে বিষ কিনে খেয়ে নেয়। ও নিজেই বাড়ি ঢুকে বিষ খেয়েছি বলে জানায়। আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। শেষরক্ষা হল না।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল সরকারের কথায়, ‘‘মোবাইল নেব বলে জেদ ধরেছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। কিনে দিতে পারেনি। শেষে এ রকম একটা কাজ করে বসল। ওর পরিবারের অবস্থা খারাপ।’’
তবে কেন পরিচয়পত্র না দেখেই নাবালক কিশোরের হাতে বিষ তুলে দিল দোকানদার? তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়েরা। দোকানদারের শাস্তির দাবি তুলেও সরব হয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy