সোনার তালুক থেকে ‘ভূতের শহর’! সেই কেজিএফ খনি আবার চালুর সিদ্ধান্ত সরকারের, রূপ বদলাবে ‘নরক’?
কেজিএফের ১৩টি বর্জ্য পাহাড়ে প্রায় ৩.৩০ কোটি টন নিষ্কাশিত বর্জ্য পড়ে রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রতি ১০০০ কেজি বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণে এক গ্রাম করে সোনা পাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১৫:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১৩০
সোনার তালুক! এমন একখানি জায়গা, যেখানে ‘সোনা’ ফলে। সোনার ফসল নয়। আসল সোনা। চোখধাঁধানো সোনালিরঙা কম ক্ষয়বিশিষ্ট বিরল ধাতু। বছর বিশেক আগেও কেজিএফ বা কোলার গোল্ড ফিল্ড ছিল সেই সোনার আঁতুড়ঘর। বক্স অফিসে ঝড় তুলে দেওয়া কন্নড় ভাষার ছবির দৌলতে এখন কেজিএফ পরিচিত নাম। অথচ ২০০১ সালের পর গত ২১ বছর কেজিএফের কথা মনেই রাখেননি দেশের মানুষ। কালের নিয়মে এই ‘সোনার শহর’ এখন ‘ভূতের শহরে’ পরিণত হয়েছে। তবে কেজিএফের সেই সোনার খনি আবার নতুন করে চালু করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।
০২৩০
গত সপ্তাহেই কেজিএফ খনি নতুন করে খোলার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কর্নাটক সরকার। পাশাপাশি, কেজিএফের হাজার একর জুড়ে থাকা ১৩টি খনি বর্জ্যের পাহাড় নিলামে তোলার প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার।
০৩৩০
কেজিএফের ১৩টি বর্জ্য পাহাড়ে প্রায় ৩.৩০ কোটি টন নিষ্কাশিত বর্জ্য পড়ে রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রতি ১০০০ কেজি বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণে এক গ্রাম করে সোনা পাওয়া যাবে।
০৪৩০
গত সপ্তাহে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কেজিএফ খনি নতুন করে চালু করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরেই সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় সরকার।
০৫৩০
উল্লেখ্য, কেজিএফের খনিগুলি ‘ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড’ (বিজিএমএল) সংস্থার মালিকানাধীন। বিজিএমএল একটি সরকারি সংস্থা, যা ১৯৭২ সালে কেজিএফে তৈরি করা হয়েছিল। তবে কেজিএফ খনির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই গুরুত্ব হারায় এই সংস্থা।সোনার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে কেন্দ্রের তরফে বিজিএমএল-সহ পুরনো খনিগুলি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
০৬৩০
সেই মতোই কেন্দ্রের তরফে কেজিএফ চালু করতে কর্নাটক সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র। কর্নাটকের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এইচকে পাতিল জানিয়েছেন, কেজিএফ খনি নতুন করে চালু হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরির সুযোগ পাবেন।
০৭৩০
এক সময় সোনার বিচ্ছুরণে আলো করে থাকা কেজিএফ শহর বর্তমানে খাঁ খাঁ করছে। চার দিকে অন্ধকার। কন্নড় সিনেমা কেজিএফেও বহু বার এলাকাটিকে ‘নরক’ বলে উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছে। অথচ এই কেজিএফ নিয়েই এককালে গর্বের অন্ত ছিল না দেশের। কেজিএফকে দেখিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিয়েছিল ভারত। কিন্তু কী ভাবে উত্থান এবং পতন হল কেজিএফের? কর্নাটকের কোলার গোল্ড ফিল্ড ওরফে কেজিএফ একসময়ে ছিল কোলার নামের একটি গ্রাম। মাটির নীচে তো বটেই, সবাই জানতেন এবং মানতেন যে, এ গ্রামের ধুলোতেও সোনা মিশে থাকে।
০৮৩০
এই বিশ্বাস থেকেই সম্ভবত চোল-চালুক্যদের রাজত্বের সময় থেকে কোলারকে সব সময় দখলে রেখে এসেছে শাসকেরা। এক একটি শাসনকাল ৮০০ থেকে এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। শাসকের নীতির জোরে কখনও বিস্তৃত, কখনও কমে এসেছে রাজ্যপাট। তবু কোলার হাতছাড়া হতে দেয়নি কেউ। তবে কোলারের দখল নিলেও সেই সময়ে চোল, চালুক্য রাজারা সোনা খনন করাতেন কি না, তা জানা যায় না। সরকারি নথি অনুযায়ী, সে কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৭৫ সালেই।
০৯৩০
মাইকেল ফিৎজগেরাল্ড লাভেল নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সৈনিক প্রথম কোলারের মাটির নীচ থেকে সোনা তোলার কাজ শুরু করেন। কোলারের সোনার ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণসমৃদ্ধ একটি বই লিখেছিলেন ব্রিটেনের এক ইতিহাসবিদ। সেই বই লাভেলের হাতে আসে। কোলারের পুরনো ইতিহাস জেনে তিনি ঠিক করেন, কোলারের মাটির নীচে সোনা সত্যিই আছে কি না তার খোঁজ শুরু করবেন। প্রাথমিক ভাবে সফলও হন লাভেল।
১০৩০
তবে খনি থেকে সোনা তোলার কাজে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ছিল। মাইকেলের সেই সামর্থ ছিল না। তিনি জন টেলর অ্যান্ড সনস নামে ব্রিটেনেরই একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দেন কোলারের সোনার খনি। ১৮৮০ সালে ওই ব্রিটিশ সংস্থার হাত ধরে শুরু হয় কেজিএফের শ্রীবৃদ্ধি। কিন্তু সেখান থেকে ১০০ কিলেমিটার দূরে হঠাৎ শহর হয়ে ওঠা কেজিএফই দক্ষিণের রাজ্যটির প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠতে থাকে।
১১৩০
একে কর্নাটকের মনোরম আবহাওয়া। তার উপর আধুনিক সুযোগ সুবিধার অন্ত ছিল না কোলারে। সেখানকার বাসিন্দা ব্রিটিশ কর্মচারীরা ‘মিনি ইংল্যান্ড’ বলে ডাকতে শুরু করেছিল কোলারকে। কোলার ছিল দেশের প্রথম শহর, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ এসেছিল। শুধু দেশে নয়, জাপানের টোকিয়োর পর কোলারই ছিল এশিয়ার দ্বিতীয় শহর, যেখানে বিদ্যুতের সুবিধা মিলেছিল।
১২৩০
খনির কাজের জন্য কাছেই কাবেরী নদীর ঝর্নায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছিল ব্রিটিশ সরকার। পাশাপাশি, খনিতে জল সরবরাহ করার জন্য কোলারে একটি বিশাল হ্রদও খুঁড়ে ফেলেছিল তারা।
১৩৩০
কী ছিল না কেজিএফে! গল্ফ খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল-কলেজ, ছেলে এবং মেয়েদের কনভেন্ট স্কুল, ক্লাব, মনোরঞ্জনের নানা ব্যবস্থা— সব। এমনকি কেজিএফে বসবাসকারী ব্রিটিশ এবং ভারতীয় হর্তাকর্তাদের জন্য ব্রিটেনের স্থাপত্যের ছাঁদে বড় বড় বাংলোও তৈরি হয়েছিল।
১৪৩০
যদিও কোলারের এই ‘মিনি ইংল্যান্ডে’ প্রবেশাধিকার ছিল না খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের। তাঁরা থাকতেন কোলারের ঝকঝকে আলোর বাইরে। ছোট ছোট খুপরির মতো ঘরে। সেই সব এলাকাকে বলা হত কুলি লেন। ঘরগুলিকে বলা হতে ‘শান্টি’। সেখানে কষ্ট করে থাকতেন খনিশ্রমিকেরা। তবু বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতেন কোলারে কাজ করতে। কারণ কোলারই তখন উন্নতির কেন্দ্র।
১৫৩০
১৯০২ সাল পর্যন্ত দেশের মোট সোনা উৎপাদনের ৯৫ শতাংশই আসত কোলার থেকে। এই শতকের গোড়া পর্যন্তও সোনা উত্তোলন হত কেজিএফ থেকে। শেষ বার কেজিএফ থেকে সোনা উত্তোলন হয় ২০০১ সালে। তবে গত শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।
১৬৩০
১৮৭৫ সাল থেকে খনন শুরু হয় কেজিএফে। তার পর থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সোনা তুলেছে ব্রিটিশ সংস্থা। সেই সময়েই কেজিএফের সোনার উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। প্রথমে মাটির এক কিলোমিটার নীচেই সেনার খোঁজ পাওয়া যেত। ক্রমে সোনার খোঁজে আরও গভীরে যাওয়া শুরু হল। প্রথমে দু’কিলোমিটার। তার পর তিন কিলোমিটার। এশিয়ার আর কোথাও এত গভীরে সোনা খননের কাজ হয়নি।
১৭৩০
তবু সুফল মিলছিল না। প্রতি টন আকরিকে সোনার পরিমাণ কমতে শুরু করেছিল। এককালে যেখানে এক টন আকরিক থেকে অন্তত ৪৫ গ্রাম সোনা পাওয়া যেত, সেখানে প্রতি টনে তিন গ্রাম করে সোনা পাচ্ছিল খননকারী সংস্থাগুলি। খরচে পোষাচ্ছিল না তাদের।
১৮৩০
তত দিনে কেজিএফে খননের কাজ শুরু করেছে ভারত সরকার। ১৯৭২ সালে কেজিএফের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত গোল্ড মাইন লিমিটেড। কিন্তু কেজিএফে প্রাপ্ত সোনার দামের থেকে তার জন্য খরচ ক্রমেই বাড়ছিল।
১৯৩০
অথচ কেজিএফে সোনা রয়েছে তখনও। অনাবশ্যক খরচ কমাতে সরকার বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় কেজিএফ। ১৯৬০ এবং ১৯৯২ সালে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়।
২০৩০
এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক হোমি ভাবার করা একটি পরীক্ষাও ছিল। যেখানে আকরিককে সহজে গলিয়ে সোনা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়। এর পরেও কেজিএফ থেকে সোনা তেলার কাজ চলছিল। কিন্তু বাধ্য হয়েই ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয় কেজিএফ বন্ধ করে দেয় ভারত গোল্ড মাইন।
২১৩০
তবু কোলার একটি সম্পন্ন শহর হিসাবেই থেকে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। কারণ খনি বন্ধ করার যে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, তা মানা হয়নি কেজিএফের ক্ষেত্রে। সাধারণত খনি এলাকায় রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই কেন্দ্রের নতুন নিয়ম অনুযায়ী যখনই কোনও খনি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এলাকাটির পরিবেশ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়। যা কোলারে হয়নি।
২২৩০
২০০১ সালে সরকারি সংস্থা ভারত গোল্ড মাইন লিমিটেড এবং ভারত আর্থ মুভারস লিমিটেড কেজিএফকে পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার পরই একে একে বন্ধ হতে শুরু করল ক্লাব হাউস, কলেজ, স্কুল, হাসপাতালের মতো পরিষেবা।
২৩৩০
স্থানীয়দের কথায় যখন কোলারের ‘শান’ ছিল, তখন আলো নিভত না কেজিএফে। অভাব ছিল না জলের। কোলারের ‘মিনি ইংল্যান্ড’ ঝলমল করত দিনরাত। অথচ সেই কোলারেই এখন বিদ্যুতের জন্য নিত্য হাহাকার। পানীয় জলটুকু পান না মানুষ। সোনা ফুরোতেই প্রয়োজন ফুরিয়েছে। চমক হারিয়ে এখন মলিন কেজিএফ।
২৪৩০
কোলারের মাটির নীচে নেমে যাঁরা সোনা তুলে আনতেন, তাঁরা কী ভাবে বেঁচে আছেন, কোনও দিনই তার খোঁজ নেননি খনির মালিকেরা। খনি না থাকলেও খননের বিষ থেকে গিয়েছে কোলার শহর জুড়ে। নিরুপায় মানুষগুলো সেই বিষের সঙ্গেই ঘর করছেন ‘ভূতুড়ে শহর’ কোলারে। কাজ হারানোর ২১ বছর পরও সরকার তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান করেনি। এমনকি পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করেনি বলে অভিযোগ।
২৫৩০
কোলারের ঘরে ঘরে এখন ক্যানসারের রোগী। এককালে খনির বিষাক্ত পরিবেশে সায়ানাইডের মতো ভয়ঙ্কর রাসায়নিক নিয়ে কাজ করেছেন সোনার খনির মজুরেরা। এই রোগ তারই দাম। তার পরও চিকিৎসার সুযোগ নেই। কারণ হাসপাতালই আর নেই কোলার শহরে। ১০০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরুতে আছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করানোর টাকা কোথায়? সোনার খনির মজুর হয়েও আজ হাতে কানাকড়ি নেই কেজিএফের শ্রমিকদের।
২৬৩০
স্থানীয়দের দাবি, কেজিএফে যে বর্জ্য পাহাড়গুলি রয়েছে, তাতে মিশে রয়েছে সায়ানাইডের মতো রাসায়নিক। যা থেকে হাওয়ায় উড়ে আসা ধুলো প্রতি মুহূর্তে ঢুকছে কোলারের মানুষের শরীরে। স্থানীয়দের দাবি, তা থেকে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কোলারের বাসিন্দারা।
২৭৩০
বৃষ্টি হলে পাহাড় ধোয়া জল গড়িয়ে মেশে জলাজমিতে। মেশে কৃষিজমিতেও। তাতে বিষাক্ত হয় জল, মাটি। কোলারের শ্রমিক বসতির যাঁরা কৃষিকাজ করেন, তাঁরা বলছেন এই বিষ জমিকে অনুর্বর করে তুলছে ক্রমশ। কমছে ফলন। বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুস্থতা।
২৮৩০
সোনার খনির শ্রমিকেরাই এখন কোলারের একমাত্র বাসিন্দা। তবে তাঁদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মোট ৪০০টি শ্রমিক কলোনি মিলিয়ে কম করে আড়াই লক্ষ মানুষ বাস করেন কেজিএফে। এঁদের কারও কোনও নির্দিষ্ট কাজ নেই। ঠিকে কাজ করতেও ১০০ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরু যেতে হয়। ট্রেনে রোজ চার ঘণ্টার সফর। ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে ঘরে ফেরেন তাঁরা। তবে এ ভাবে কত দিন চলবে, তা জানা নেই তাঁদের।
২৯৩০
সে দিনের সোনার শহর আজ মৃতপ্রায়। কোলারের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য বহু প্রস্তাব জমা পড়েছে সরকারের কাছে। পর্যটনের জন্য কেজিএফকে নতুন করে সাজানোর কথা বলা হয়েছে। প্রাসাদোপম বাংলোগুলো সারিয়ে হোমস্টে-র প্রস্তাবও রয়েছে।
৩০৩০
কিন্তু সে সবই প্রস্তাবের আকারেই রয়ে গিয়েছিল এত দিন। এ বার এক সময়ের সেই ‘সোনার শহর’কে পুনরুজ্জীবিত করতে খনি নতুন করে চালুর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।