প্রতীকী ছবি
নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পরে বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হল দশম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ থেঁতলে খুন করার পরে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দেগুন এলাকায় বুধবার সকালে পাটের জমি থেকে মাটি খুঁড়ে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন জমিতে কাজ করার সময় গর্ত থেকে একটি হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন এলাকার কয়েক জন চাষি। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী নিজেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল, নাকি তাকে অপহরণ করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ লোপাট করতে ধর্ষণের পরে কিশোরীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসী অনেকের সন্দেহ। তদন্তে নেমে ওই কিশোরীর সঙ্গে চাঁচলের এক যুবকের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাঁর খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোরী। পুলিশ বা পরিবারের লোকজন তার হদিশ পায়নি। এ দিন বারমাসিয়া নদী সংলগ্ন দেগুন এলাকায় পাটের খেতে একটি গর্তে একটি হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন চাষি। খবর ছড়াতেই ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ। ভিড় সামাল দিতে এক সময় লাঠি নিয়ে বাসিন্দাদের তাড়া করতে হয় পুলিশকে। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই জানা যায়, সেটি নিখোঁজ ওই কিশোরীর। তার মুখ ভারী কিছু দিয়ে খেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। কিশোরীকে খুন করার পরে যে ভাবে বড় গর্ত করে দেহ পুঁতে ফেলা হয়েছিল, তাতে ওই ঘটনায় একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর সঙ্গে চাঁচলের এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। যুবকের নাম জানলেও বাড়ি কোথায় তা পরিবারের লোকজন জানাতে পারেননি। ওই সম্পর্কের কথা শুনে ওই কিশোরীর মা তাকে বকাবকিও করেছিলেন। তারই জেরে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরে দুষ্কৃতীদের হাতে পড়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনার পিছনে ওই যুবকের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।
কিশোরীর মা এ দিন বলেন, ‘‘ মেয়েকে কে বা কারা কেন খুন করল তা পুলিশই তদন্ত করে দেখুক। যারা মেয়েকে এ ভাবে খুন করেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy