Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪
Balurghat

২৬ ঘণ্টা পর ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার! শ্বশুরবাড়ির পুজোর ভাসানে গিয়ে মৃত অস্ট্রেলিয়া ফেরত যুবক

সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন অংশু এবং তাঁর পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবেরা। প্রতিমা নদীর জলের দিকে ঠেলতে গিয়ে তিন জন তলিয়ে গিয়েছিলেন।

নদী থেকে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারের দেহ।

নদী থেকে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২২
Share: Save:

প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে সোমবার আত্রেয়ী নদীতে তলিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার হল। খিদিরপুর শ্মশানঘাট এলাকায় নদীর জলে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। দুর্ঘটনার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পরে অংশু নন্দী নামে ওই যুবকের দেহ মিলল। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পারহাইজ এবং কাঁঠালপাড়া এলাকা। পরিবার সূত্রে খবর, অস্ট্রেলিয়ার কর্মরত ছিলেন ৩৫ বছরের অংশু। পুজোয় ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনে গিয়েছিলেন।

সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসেন অংশু এবং তাঁর পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবেরা। প্রতিমা নদীর জলের দিকে ঠেলতে গিয়ে তিন জন তলিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে শ্যামল দত্ত নামে এক বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তবে অংশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাঁর খোঁজে স্পিডবোট এবং ডুবুরি নামানো হয়। সোমবার রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি যুবককে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আবার স্পিডবোট, ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চলে। তবে তখনও পাওয়া যায়নি তাঁকে। বিকেলে শ্মশানঘাট এলাকায় নদীর ধারে বসে থাকা কয়েক জন দেহ ভেসে থাকতে দেখেন নদীতে। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে। দেহ শনাক্ত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, তিনি বালুরঘাটের বাসিন্দা। পেশার সূত্রে প্রায় সাত বছর সিডনিতে বসবাস করছেন। পুজোয় বাড়ি ফিরেছিলেন। কাঁঠালপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের পারিবারিক পুজোয় অংশ নেন। সোমবার ভাসানে গিয়েছিলেন। সেখানেই দুর্ঘটনা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Balurghat Death Immersion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE