—প্রতীকী চিত্র।
আইসক্রিম গোডাউনে একটি ফ্রিজ়ের মধ্যে থেকে পাওয়া গেল এক কর্মীর দেহ। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাচমারি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, হিন্দুস্তান গোডাউন সংলগ্ন এলাকায় একটি আইসক্রিমের গোডাউনে ফ্রিজ় থেকে একটি দেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, কী ভাবে ফ্রিজ়ের মধ্যে ঢুকলেন, এ সব এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মৃণালকান্তি বসু। ৪০ বছরের ওই ব্যক্তির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকায়। বছর ছয়েক ধরে ওই আইসক্রিম গোডাউনের গাড়িচালকের কাজ করতেন তিনি। সোমবার দুপুরে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন গোডাউনের কর্মীরা। খবর যায় মালদহ থানায়। দেহ নিয়ে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। সংশ্লিষ্ট আইসক্রিম গোডাউনের মালিক জয়ন্ত পাল চৌধুরীর দাবি, সব কিছুই ঠিক ছিল। গত কয়েক দিনে মৃণালের ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন দেখেননি। কোনও গন্ডগোলের কথাও তিনি শোনেননি। তিনি বলেন, ‘‘সবই স্বাভাবিক ছিল। রবিবার ছিল ছুটির দিন। তখন কী হয়েছে জানি না।’’ তিনি মনে করছেন অতিরিক্ত মদ্যপান করাই এই মৃত্যুর কারণ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফ্রিজ়ের মধ্যে দেহ কী ভাবে গেল, তার জবাব নেই জয়ন্তের কাছে।
ওই আইসক্রিম গোডাউনের ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষ জানান, সোমবার সকালে গাড়িচালক মৃণালকে অনেক ক্ষণ ধরে খুঁজেও কোথাও পাননি। রবিবার গোডাউনেই ছিলেন মৃণাল। সেখান থেকে কোথায় গেলেন মৃণাল, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান সকলে। তার মধ্যে এক জন আইসক্রিমের ফ্রিজ় খুলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। ওই ফ্রিজ়ের মধ্যে মৃণালের দেহ দেখে সকলেই হতভম্ব হয়ে যান। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী জড়ো হতে থাকেন। মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশও স্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছু বলেনি। এক পুলিশ আধিকারিকের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘কী ঘটেছে, তা তদন্তের পরেই জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy