বাগডোগরা বিমান বন্দর।
পাহাড়ের পাদদেশে তরাইয়ের চা বাগান ঘেরা এলাকা বিমানবন্দরের সামনে লেখা থাকবে, ‘ওয়েলকাম টু দ্য হিলস’। এ ভাবেই বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেল। আগামী মাস থেকে পুরোদমে টার্মিনাল ভবনের কাজ শুরু করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বরে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে ৮৮৩.৮০ কোটি দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে ৯৬০.৪৫ কোটির টেন্ডারে ৭৬ কোটি টাকা কমে সংস্থাটি কাজের বরাত পেয়ে শুরু করেছে।
৬০টিরও বেশি দেশে পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণকাজে অভিজ্ঞ সংস্থাটি দেশের আরও তিনটি সংস্থাকে টেন্ডারে পিছনে ফেলে কাজের বরাত পেয়েছে। তাদের সঙ্গেই আলোচনার পরে নতুন বছরের গোড়াতেই এআইআইয়ের তৈরি সম্প্রসারণের নকশা এবং টার্মিনাল ভবনের নকশা চূড়ান্ত করে দেওয়া হল। এএআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সময়সীমা বেঁধে পরিকাঠামোর কাজ শেষ হবে।’’ তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ের কাজ আড়াই বছরে শেষ হবে। বিমানবন্দরের পুরো আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দুই থেকে তিন দফায় ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ মাসে শেষে করার নির্দেশ রয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বর্তমানে মূল বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের আয়তন ৮ হাজার স্কোয়ার মিটার। সেখানে ঘণ্টায় ৪০০-৫০০ যাত্রী ধারণ করা যায়। এর বাইরে কিছু সম্প্রসারণ করা হলেও সমস্যা খুব একটা মেটেনি। দিনের ব্যস্ততম সময়ে বিমানবন্দরের ভিতরে যাত্রীদের বসার জায়গা তো দূরের কথা অনেক সময় গায়ে গায়ে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়াতে হয় বলে অভিযোগ। নতুন টার্মিনালটি বর্তমান টার্মিনালের ৫০০ মিটার দক্ষিণে তৈরি হচ্ছে। সেখানে ১ লক্ষ বর্গমিটার টার্মিনাল হবে। তা ঘন্টায় ৩৫০০-৪০০০ যাত্রী ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার বর্গমিটারের টার্মিনালটির কাজ হবে। এ ছাড়া ১০টি এরোব্রিজ (প্রথম পর্যায়ে ৬টি) তৈরি হচ্ছে। প্রায় ১০৪ একর জমি সরকার চা বাগান থেকে অধিগ্রহণ করার পর সেখানে নতুন টার্মিনাল সব পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে বিমানবন্দরের সামনে অংশে চা বাগানের আদলে তৈরির কিছুটা পরিকল্পনা হয়েছে। পাহাড়, তরাই, জঙ্গলের মেলাবন্ধনে বিমানবন্দরটির নকশা তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক তো বটেই সামজিক দিককে সামনে রেখেই দেশের নামকরা একটি সংস্থা বিমাবন্দরের নকশা তৈরি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy