Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রক্ত-ভাঁড়ারে মা ভবানী মেডিক্যালে

এমনকি রক্তদাতা না দিতে পারলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদেরও অর্ধেক ক্ষেত্রে রক্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে।  

পরিষেবা: গাছের তলায় রোগী দেখছেন এক চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

পরিষেবা: গাছের তলায় রোগী দেখছেন এক চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০৫:০৫
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আঞ্চলিক ব্লাডব্যাঙ্কের পরিস্থিতি ভাঁড়ে মা ভবানী। রক্ত শূন্য হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা ভেবে পাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। দুই একটি গ্রুপের হাতে গোনা এক দুই ইউনিট করে রক্ত রয়েছে মাত্র।

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে একটি মাত্র বড় রক্তদান শিবির হয়েছে। ২৪ এপ্রিল ওই শিবির থেকে দেড়শো ইউনিটের মতো রক্ত মিলেছিল। তা ছাড়া, বাকি ১৫টির মতো যে রক্তদান শিবির হয়েছে সেগুলোর কোনওটাতে ৩০ ইউনিট, কোনওটাতে তারও কম রক্ত সংগ্রহ হয়েছে। অথচ প্রতিদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে গড়ে ৮০ ইউনিট রক্ত সরবরাহ হয়। এখন পরিস্থিতি এমন রোগীর জন্য যে গ্রুপের রক্ত চাই সেই গ্রুপের রক্ত রক্তদাতা দিতে না পারলে রোগীকেও আর রক্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি রক্তদাতা না দিতে পারলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদেরও অর্ধেক ক্ষেত্রে রক্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে।

তবে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ইউনিট থাকায় পরিস্থিতি কোনও রকমে সামাল দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আঞ্চলিক ব্লাডব্যাঙ্ক শাখার ডিরেক্টর মৃদুময় দাস বলেন, ‘‘রক্তদান শিবির গত তিন মাস ধরে সে ভাবে না-হওয়ায় পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে পড়েছে। রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ইউনিট থাকায় এক ইউনিট রক্ত থেকে রক্ত প্লাজমা, প্লেটলেট, লোহিত কণিকা তিন ধরনের উপাদান মেলে। যে রোগীর যা প্রয়োজন সেটা দিয়েই পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছে।’’

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ‘এ পজিটিভ’ এবং ‘এবি পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত রয়েছে ১ ইউনিট করে, ‘ও পজিটিভ’ রক্ত রয়েছে ২ ইউনিট। ‘এ নেগেটিভ’, বি পজিটিভি এবং নেগেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও নেগেটিভ বিভাগের কোনও রক্ত নেই। অথচ নৃপেন প্রমাণিক, বিবেক দাসের মতো বাসিন্দারা তাঁদের রোগীদের জন্য এ নেগেটিভ এবং বি পজিটিভ বিভাগের রক্ত নিতে আবেদন করে বসে রয়েছেন। কেউ একই গ্রুপের রক্তদাতা খুঁজছেন।

ব্লাডব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর থেকে প্রচুর থ্যালাসেমিয়া রোগী রক্ত নিতে আসেন এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁদের অর্ধেক রোগীকে দেওয়া সম্ভব হয়। বাকিদের রক্তদাতা দিতে না বলা ছাড়া উপায় থাকে না। শুক্রবার ময়নাগুড়ি এবং রানিডাঙা এলাকায় দুটি রক্তদান শিবির রয়েছে। সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal Medical College Blood Blood Scarcity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy