Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
BJP

বিজেপির বৈঠক খেলোয়াড়, বিদ্বজ্জন নিয়ে

বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভায় তাঁদের মন পেতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে এদিন প্রহ্লাদ ইসলামপুর, কানকি ও রায়গঞ্জে বৈঠক করেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:০৯
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিদ্বজ্জন ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেল। শনিবার প্রথমে তিনি বিজেপির সংঙ্কল্প সোনার বাংলা কর্মসূচিতে ইসলামপুরের সূর্য সেন মঞ্চে ওই বৈঠক করেন। এরপর তিনি চাকুলিয়ার কানকি এলাকার মুন্সি প্রেমচাঁদ পাবলিক হলে দলীয় কর্মিসভায় যোগ দেন। সেখানে বিজেপির তরফে স্থানীয় বিদ্বজ্জন ও খেলোয়াড়দের একাংশকে হাজির করানো হয়েছিল।

এরপর এদিন সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকার গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সংঙ্কল্প সোনার বাংলা কর্মসূচিতে আরেকটি বৈঠকে যোগ দেন প্রহ্লাদ। সেখানে স্থানীয় বিজেপির নেতা ও কর্মীদের পাশাপাশি বিদ্বজ্জনদের একাংশও হাজির ছিলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভায় তাঁদের মন পেতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে এদিন প্রহ্লাদ ইসলামপুর, কানকি ও রায়গঞ্জে বৈঠক করেন। এদিন তিনটি বৈঠকে প্রহ্লাদের সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও।

তিনটি জায়গার বৈঠকে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, বাচিক শিল্পী, অঙ্কনশিল্পী-সহ বিভিন্ন সংস্কৃতির কর্মী ও শিল্পীরা। ইসলামপুরের বৈঠকে প্রহ্লাদ রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে বিঁধে বলেন, ‘‘বাংলার মাটি সংস্কৃতির মাটি। কিন্তু বাংলার মাটিতে বর্তমানে সংস্কৃতি সঙ্কটে রয়েছে।’’

কানকির বৈঠকে প্রহ্লাদ বলেন, ‘‘সমস্ত স্তরের বিদ্বজ্জন, খেলোয়াড় ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।’’ অন্য দিকে, রায়গঞ্জের বৈঠকে তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘‘এ রাজ্যে রাজবংশীদের সঙ্গে একটানা অত্যাচার হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে রাজবংশীদের উন্নয়ন হবে।’’

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে প্রহ্লাদ বলেন, ‘‘চুরি না করলে ওঁনার তদন্তে এত ভয় কেন?’’ প্রহ্লাদের দাবি, রাজ্যের সাধারণ মানুষ তৃণমূল সরকারের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন। তৃণমূলের সরে যাওয়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা।

জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে দল ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বদলে দেয়, স্বামী বিবেকানন্দকে ঠাকুর বলে ও দেবী দূর্গাকে অপমান করে, সেই দলের বহিরাগত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে সংস্কৃতির কথা মানায় না। জেলার সাধারণ মানুষ বহিরাগত বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না।’’

তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, মেহেদি হেদায়ুতুল্লা, গৌর আচার্য

অন্য বিষয়গুলি:

BJP WB assembly Election2021
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy