Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
BJP

রামমন্দিরে ৭ কোটি

রামমন্দির নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বার বার সরব হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রামমন্দিরের সাফল্য বিজেপির ঘরেই পৌঁছবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৫
Share: Save:

রামমন্দিরের ‘নিধি সমর্পণ’ হাসি ফুটিয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মুখে। তাঁদের দাবি, গ্রাম থেকে শহর যে বাড়িতেই পৌঁছেছেন সঙ্ঘ সদস্যরা, কেউই তাঁদের খালি হাতে ফেরাননি। শুধু তাই নয়, সঙ্গে আপ্যায়নও ছিল আন্তরিক। সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে রামমন্দিরের জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি অংশ কোচবিহারের। তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, মন্দিরের টাকার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা সবাই বিজেপিকে ভোট দেবেন এমন ধরে নেওয়া ভুল। সঙ্ঘ প্রচারকরাও অবশ্য দাবি করেন, নিধি সমর্পণের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সঙ্ঘ প্রচারক সাধন পাল বলেন, “মানুষ রামমন্দিরের জন্য এগিয়ে এসেছেন। অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”

মুখে রাজনীতির কথা না বললেও রামমন্দির নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বার বার সরব হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রামমন্দিরের সাফল্য বিজেপির ঘরেই পৌঁছবে। সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে ‘নিধি সমর্পণ’ কর্মসূচি শুরু হয়। গোটা জানুয়ারি মাস ওই কর্মসূচি চলে। পরে তা আরও কয়েক দিন বাড়ানো হয়। বর্তমানে ‘অনলাইনে’ রামমন্দিরের জন্য নিধি সমর্পণের ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

শুরুতেই উত্তরবঙ্গের দশ হাজার গ্রামে পৌঁছনোর ‘টার্গেট’ নেয় সঙ্ঘ। সেই মতো সদস্যদের হাতে দশ টাকা, একশো টাকা এবং এক হাজার টাকার কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রসিদ দেওয়া হয়। সঙ্ঘ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বারের কুপন শেষ হওয়ার পরে ফের দ্বিতীয় দফার কুপন পাঠানো হয়। সেই সময় দিন কয়েক সমস্যা হয়। তার বাইরে ওই সময়ে প্রতিদিন সঙ্ঘ সদস্যরা গ্রামে ও শহরে ঘুরেছেন। প্রায় দশ হাজারের কাছাকাছি গ্রামে তাঁরা পৌঁছতে পেরেছেন।

জেলার অনেকেই দাবি করেন, নিধি সমর্পণ কর্মসূচিতে বিজেপির একটি বড় অংশের কর্মীরা সামিল হয়েছিলেন। একাধিক গ্রামে বিজেপি কর্মীদের কুপন হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে বিজেপির এক দফার প্রচার হয়েছে। অবশ্য তা মানতে নারাজ সঙ্ঘ। তাদের দাবি, সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু মন্দিরের জন্য নিধি সমর্পণে গিয়ে কেউ ভোটের প্রচার করেননি।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মন্দির বা মসজিদের সঙ্গে অনেকের আবেগ ও ধর্মীয় ভাবনা জড়িয়ে থাকে। তা নিয়ে চাঁদা চাইতে গেলে কেউ না করে না। তার মানে এটা ভাবা ঠিক নয় যে, তাঁরা বিজেপি করেন। বরং ওই টাকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। তার জবাব দেওয়া প্রয়োজন।”

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Ram Mandir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy