জুহি চৌধুরীকে যে দল ছেড়ে যায়নি, সেটা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার জুহির শহর জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, জুহির ব্যাপারে তাঁরা আদালতের রায় দেখার জন্য বসে আছেন। সেখানে ক্লিনচিট পেলে জুহিকে তাঁরা ফের সাদরে গ্রহণ করবেন, সেটাও জানিয়ে দেন দিলীপ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন স্পষ্ট করে দেন, দল থেকে জুহিকে বহিষ্কার করা হয়নি। সরানো হয়ে পদ থেকে। জুহির বাবার বেলাতেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জুহি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘যাঁকে দিয়ে জুহির নাম বলানো হয় (অর্থাৎ চন্দনা চক্রবর্তী), তিনি নিজেই বলেছেন, জুহির সঙ্গে তাঁর পরিচয় মোটে কয়েক মাসের। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে তাঁর কোনও কথাই হয়নি।’’ এর পরেই দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘আসলে ভয় দেখিয়ে এ সব বলানো হচ্ছিল।’’
দিলীপের আঙুল শাসকদলের দিকে। কিন্তু শাসকদলের কোনও নেতাই এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের মতে, বিষয়টি বিচারাধীন। তাই বলার কিছু নেই। তবে আইন আইনের পথে চলবে।
এর সঙ্গেই দিলীপ পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূলকে। বলেন, ‘‘সরলতার ভাবমূর্তি তুলে ধরে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি কালো টাকা এবং কালো নেতাদের বাঁচাতে ব্যস্ত।’’ তাঁর দাবি, জনগণ তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে। তাই মমতাকে খোলা মাঠে জনসভা না করে এসি অডিটরিয়ামে সভা করতে হচ্ছে। অন্য দিকে, বিজেপির জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে বলেও তাঁর দাবি।
বস্তুত, এ দিন ধূপগুড়ির কর্মিসভায় জনসংযোগ বাড়ানোর নিয়মও সকলকে বাতলে দিয়েছেন দিলীপ। বলেছেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ১০-২০ জনের বুথ কমিটি গড়তে হবে। প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে অন্তত তিন বার করে যেতে হবে। তৃণমূল ও সিপিএম কাউন্সিলরদের বাড়ি বেশি করে যাওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। দিলীপের দাবি, ‘‘ধূপগুড়ির পুরভোটে ১৬টির মধ্যে ১০টিই আমার চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy