অভিজিৎ রায়চৌধুরী। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরীর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল বিজেপি। ২৬ অগস্ট দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র এবং দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবল্লমকে চিঠি দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত বা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার জন্য দাবি তুলেছেন। গত সপ্তাহে অভিজিতের স্ত্রী পারমিতা ‘জাস্টিস ফর অভিজিৎ’ বলে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে সকলকে পাশে থাকার আবেদন করেছেন। সেখানেও সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে ফের নতুন করে সামনে আসতে চলেছে অভিজিৎ মৃত্যুর ঘটনা।
প্রয়াত নেতার স্ত্রী পারমিতা বলেন, ‘‘দল আমাদের পাশে আছে। তা বলে কারও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হয় না। আমাদের মনে হয়েছে রাজ্য পুলিশ ঠিকঠাক কোনও তদন্তই করেনি। অনেক ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। গাড়িটির ফরেনসিক তদন্ত হয়েছে বলে জানি না। আমার মেয়ে, পরিবারকে সামলাতে কয়েকমাস সময় লেগেছে। আমি হাইকোর্টেও যাচ্ছি। ফেসবুকে সবার সাহায্য চাইছি। পুরো দু্র্ঘটনাটাই রহস্যজনক।’’
গত বছর ৭ ডিসেম্বরের ঘটনা। নতুন করে জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কলকাতা থেকে গাড়িতে শিলিগুড়ি ফেরার পথে বহরমপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অভিজিতের। বহরমপুরের ভাকুড়ি মোড়ে ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকের পিছনে অভিজিতের গাড়ি ধাক্কা মারে। অজ্ঞাতপরিচয় ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করে বহরমপুর থানার পুলিশ। কিন্তু সেই ট্রাক বা চালকের এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘‘ট্রাক ও চালকের খোঁজ চলছে।’’ এই মামলায় এখনও এফআরটি বা চার্জশিট হয়নি।
ঘটনার আট মাস পরে অগস্টের শেষে রাজু বিস্তা ডিজি এবং জেলাশাসককে চিঠি দেন। সাংসদ বলেন, ‘‘অভিজিত শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতন উজ্বল রাজনৈতিক মুখ ছিল। ওঁর মৃত্যুর তদন্ত নতুন করে হওয়া প্রয়োজন। ওর পরিবার, অনুগামী এবং আমার মত অনেকের কাছে বহু কিছু সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাই বিচারবিভাগীয় বা সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।’’
সরকারি স্তরে অবশ্য শনিবার পর্যন্ত সাংসদের চিঠির পাল্টা বক্তব্য জানানো হয়নি। তবে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘অভিজিতের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। ও কংগ্রেসি হিসাবে রাজনীতি করে এগিয়েছিল। মৃত্যুটা দুর্ভাগ্যজনক। কে কী বলল, চাইল- এনিয়ে কিছু বলার নেই।’’
জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানান, গাড়িতে অভিজিতের চালক, দুই বন্ধু ছিল। বিজেপি রাজনীতি করতে নেমেছে বলে তাঁর অভিযোগ। গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতে এসে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিজিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
(তথ্য সহায়তা: সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy