তপ্ত: মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার শহর থেকে সামান্য দূরে নিজের খাসতালুকে গিয়ে বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর গাড়ি ঘিরে উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ধলুয়াবাড়িতে এই ঘটনায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থাকে মন্ত্রীর গাড়ি। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো এবং তাঁর গাড়ি লক্ষ করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। আরও অভিযোগ, ওই সময়ে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। উল্টো দিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, ওই সময়ে তৃণমূলের একটি মিছিল বের হয় এলাকায়, যেখান থেকে বোমাও ছোড়া হয়। ওই মিছিলে থাকা তৃণমূল কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও অভিযোগ। যদিও দু’পক্ষই এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রশাসনের দাবি, পুলিশি তৎপরতায় এ দিন বড় ধরনের গোলমাল আটকানো সম্ভব হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পরে রবীন্দ্রনাথ অভিযোগ করেন, তাঁকে খুনের ছক তৈরি করেছিল বিজেপি। তাই তাঁর গাড়ি আটকে হামলার চেষ্টা হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনসংযোগ যাত্রায় মিছিল করছিলাম। বিজেপি অশান্তির চেষ্টা করে। আমার গাড়ি আটকে হামলার চেষ্টা হয়। পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানাব।”
বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা জানান, এ দিন রাজ্য জুড়ে বিডিও এবং এসডিও অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল তাঁদের। তিনি বলেন, “ওই কর্মসূচি বানচাল করতেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পরিকল্পিত ভাবে মিছিল বের করেন। ওই মিছিল থেকে বোমাবাজি করা হয়েছে। তাতেই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একটু উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। তবে বিজেপি কর্মীরা কোথাও হামলা করেনি।”
বিবাদনামা
সকাল ১১টা: বিজেপি কর্মীরা বিডিও অফিসে জড়ো হয়ে মাইক বাঁধতে শুরু করেন।
সাড়ে ১১টা: তৃণমূলের মিছিল শুরু।
বেলা ১২টা: ধলুয়াবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের গাড়ি আটকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি।
সাড়ে ১২টা: রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে মিছিল ধলুয়াবাড়ির পথে।
বেলা ১টা: দু’পক্ষের মিছিল মুখোমুখি। মাঝে পুলিশ।
সওয়া ১টা: তৃণমূলের মিছিল ফিরে যায়।
১টা ২০: ফেরার পথে ফের আটকানো হল রবীন্দ্রনাথের গাড়ি।
বেলা ৩টা: আরও পুলিশ পৌঁছে রবীন্দ্রনাথের গাড়ি বের করে দেয়।
দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিজেপি’র ধলুয়াবাড়িতে কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। কোচবিহার-দিনহাটা সড়কে ধলুয়াবাড়ি। ঠিক একই সময়ে ওই জায়গা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চার নম্বর বাজার থেকে জনসংযোগ যাত্রায় মিছিল বের করে তৃণমূল। ওই মিছিলে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ধলুয়াবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের গাড়ি আটকে দেন বিজেপি সমর্থকরা। গাড়ি ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করে তাঁরা। পুলিশ কোনও রকমে সেখান থেকে মন্ত্রীর গাড়ি বের করে দেয়।
এর পরেই রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে চার নম্বর বাজার থেকে মিছিল ধলুয়াবাড়ির দিকে রওনা হয়। পাল্টা মিছিল বের করে বিজেপিও। দু’পক্ষ মুখোমুখি হওয়ার উপক্রম হলে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের অনুরোধেই মিছিল ঘুরিয়ে নেয় তৃণমূল। ওই সময় ধলুয়াবাড়িতে তৃণমূলের ব্লক পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ওই পথ ধরেই গাড়ি নিয়ে ফের শহরের দিকে ফিরতে শুরু করলে তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। দেড় ঘণ্টা ধরে গাড়ি আটকে থাকার পরে আরও পুলিশ ফোর্স গিয়ে মন্ত্রীর গাড়ির বের করে। ওই সময় গাড়ি লক্ষ করে ঢিল ছোড়া ও কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy