মিহির গোস্বামী।
ভোটে জিতলেও, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আর নিতে চান না কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এসএসজি-র ডিআইজি-কে চিঠি লিখে নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ভোটে জেতার পরেও তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া মিহিরের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার ইচ্ছা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও মিহিরের ব্যাখ্যা, দলীয় কর্মীরা ‘সন্ত্রস্ত’। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিলে কর্মীদের মধ্যে ‘ভয় এবং বিরক্তি’ তৈরি হবে।
মিহির চিঠিতে লিখেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক আবহে যেখানে তৃণমূলের অত্যাচার আমাদের দলীয় কর্মীদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে এবং অনেককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিআইএসএফ-এর নিরাপত্তা নিয়ে নিজের কেন্দ্রে ঘোরাফেরা করলে কর্মীদের মনোবল নষ্ট হবে। এতে তাঁদের মধ্যে ভয় এবং বিরক্তিও তৈরি হবে। আপনারা পরিস্থিতি অনুধাবন করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের দেওয়া নিরাপত্তা ছেড়েছিলেন হুগলির সাংসদ তথা বিধানসভা ভোটে চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। মিহির চিঠিতে যে কারণ তুলে ধরেছেন, প্রায় একই ব্যাখ্যা এর আগে তুলে ধরেছিলেন লকেটও। বিজেপি সূত্রে খবর বিধানসভা ভোটে পরাজিত প্রার্থীদের অনেকের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু মিহির নাটাবাড়ি থেকে জয়ী হয়েছেন। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তা তুলে নিতে তাঁর আবেদন নতুন জল্পনা তৈরি করল।
এ নিয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘মিহির গোস্বামী নিরাপত্তা নিয়ে ভালই নাটক করছেন। উনি যখন তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন, তখনও নিরাপত্তা নেননি, উনি বলতেন, ‘আমি সহজসরল জীবনযাপন করি। আমার নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন নেই।’ আর এখন উনি বলছেন, তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বলে উনি নাকি নিরাপত্তারক্ষী চাইছেন না। মিহিরবাবুর এমন দু’মুখো নীতির প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy