Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Panchayat Election

দলে দায়বদ্ধরাই পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন: সুকান্ত

সুকান্তের দাবি, তৃণমূল ‘মস্তানি’ দেখালে জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ করবে। বিজেপিও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে তিনি জানান।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। — ফাইল চিত্র।

নীতেশ বর্মণ
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৪৫
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবেন দলের প্রতি দায়বদ্ধরাই। পুরনোদের দেওয়া হবে গুরুত্ব। তবে নতুনরা বাদ যাবেন, এমনটাও নয়। জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার আলিপুরদুয়ারে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক সেরে কলকাতা ফেরার পথে বাগডোগরায় সুকান্ত বলেন, ‘‘যাঁরা পুরনো, তাঁরা গুরুত্ব পাবেন। তবে নতুনদের কথাও ভাবা হবে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে গ্রাম প্রধানদের অনেকেই বিজেপিতে ঢোকার জন্য যোগাযোগ করছেন। তাঁরা সব দেখেশুনে তবেই যোগদান করাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দরজা খুললে বিজেপি দলটাই থাকবে না।’’

সুকান্তের দাবি, তৃণমূল ‘মস্তানি’ দেখালে জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিরোধ করবে। বিজেপিও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে তিনি জানান। কয়েকদিন আগে সুকান্তের মুখেও ‘খেলা হবে’ স্লোগান শোনা গিয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা তো চুড়ি পরে নেই। আটকানো সহজ নয়।’’

শুভেন্দু অধিকারীর ডায়মন্ড হারবারের সভায় তৃণমূলের কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, অগণতান্ত্রিক ভাবে তৃণমূলের ‘হার্মাদরা’ আক্রমণ করেছিল। তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকলেও কিছুই করেনি। সুকান্ত বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালের কাছে সময় চাইবেন। তাঁকেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করবেন। যাতে গোটা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয় পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।’’ পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। সুকান্তও এ দিন একই দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে। শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়?’’

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ দলের মধ্যেই ‘বিভীষণ’ রয়েছে বলে দাবি করেন। সেই প্রেক্ষিতে সুকান্তের বক্তব্য, ‘‘উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজে অন্য দল থেকে তৃণমূলে এসেছেন। তিনিই যদি তৃণমূলের লোকেদের বিচার করেন কে বিভীষণ, কে লক্ষ্মণ আর কে রাবণ, তা হলে দেখতে বলুন। এটুকু মেনে নিচ্ছেন যে বিভীষণ যখন ওদের দলে রয়েছে, রাবণ নিশ্চয় উনি কিংবা অন্য কেউ হবেন। রাবণ কে সেটা যেন বলে দেন। আর রাবণ যদি হন, রামের হাতে বধ তো হবেনই।’’

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বক্তব্য, ‘‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক মানুষ। ভাষার প্রতি সাবলীল থাকা উচিত। আর উত্তরবঙ্গে ক’টা গ্রাম পঞ্চায়েত, কত জন সদস্য, আসন কত জানেন তো উনি? বাস্তব নয় সার্কাসেই থাকুক বিজেপি৷’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sukanta Majumdar BJP Panchayat Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy