মালদহ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছেন সাবেক আলির গুলি চালনার ঘটনায়। নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকারে শ্যুটআউট। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাবেক আলির গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক। মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানার অন্তর্গত রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের কুমারগঞ্জের বরেল এলাকায় রাত ১০টা নাগাদ ঘটেছে গুলিচালনার ঘটনা। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ৪ বছর ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী সাবেক আলি (৩৫)। সম্প্রতি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি হয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে সামসিতে বৈঠক সেরে গাড়িতে কুমারগঞ্জে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় পুকুরিয়া এলাকায় তাঁর পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, সাবেককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। তাঁর বাঁ হাতে, পায়ে ও পিঠে লাগে গুলি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাতেই অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু বলেছেন, ‘‘সাবেকের নেতৃত্বে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের মাটি সরতে শুরু করেছে। অনেক সংখ্যালঘু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তাই গুলি করে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয় সাবেককে।’’ গুলিবিদ্ধ সাবেক আলি বলেছেন, ‘‘শ্রীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধানের স্বামী ও তাঁর ছেলের দলবল এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ রাজনৈতিক কারণেই এই আক্রমণ বলে জানান সাবেক। ঘটনার সময় গাড়িতে চালক ছাড়া তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন। গাড়িটি সেই বন্ধুরই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সাবেকের উপর আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ‘‘বিজেপির দলের অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোলের জন্য সাবেক আলিকে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়’’, বলেছেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সদস্য মৌসম বেনজির নুর। ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy