দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। ফাইল ছবি।
স্বাস্থ্য উন্নয়নের পরিকাঠামো খাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ২২২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং এই আঞ্চলের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে ক্ষেত্রেই তিনি তদ্বির করেছেন বলে দাবি সাংসদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়ের তরফে তাঁকে পাঠানো একটি চিঠি দেখিয়ে সাংসদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন, পঞ্চদশ অর্থ যোজনার স্বাস্থ্য খাতে এবং ন্যাশন্যাল হেল্থ মিশনের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ওই বরাদ্দ মিলেছে। একাংশ দার্জিলিঙের জন্য খরচ হবে। বাকি কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুরের জন্য খরচ হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই অর্থ ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছেন। জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা পরিকল্পনা মাফিক তা করবেন। বিভিন্ন সময়ে এই এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দের জন্য তৎপর হয়েছি। ভবিষ্যতেও হব।’’ তাঁর দাবি, দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ‘ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক’ গড়ে উঠলে এবং সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো তৈরি হলে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিঠিতে দার্জিলিঙের সাংসদকে সংশ্লিষ্ট কাজের তদারকি, যথাযথ ভাবে যাতে সময় মতো সম্পন্ন হয় সে জন্য জেলার পর্যালোচনা বৈঠকে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে অনুরোধ করেছেন বলে দাবি।
চিঠি অনুয়ায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকা এবং জিটিএ এলাকার জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। কালিম্পং জেলার জন্য ২১ কোটি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য ১১১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা উন্নয়নে পরিকাঠামোয় ওই টাকা খরচ হবে। তার মধ্যে দার্জিলিং জেলায় ‘ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক’ তৈরিও রয়েছে, যেটি জেলা হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হবে। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য দফতরগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, এ সব প্রকল্পে নানা বরাদ্দে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কাজ শুরু হয়েছে।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘সাংসদ এ সব গল্প নিজের কাছেই রাখুন। পঞ্চদশ অর্থ যোজনায় ওই সমস্ত প্রকল্পে পুর এলাকায় যে কাজ, তার একাংশ আমরা সম্পূর্ণ করেছি। বাকি চলছে। পঞ্চদশ অর্থ যোজনার মতো খাত থেকে বিভিন্ন জায়গার বরাদ্দে কোনও দয়ার ব্যাপার নেই। আর তাঁকে সে সব দেখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুরোধ করলেও, তা সংবিধানবিরুদ্ধ। কেন না, বিভিন্ন ‘লোকাল বডি’ সেগুলো দেখে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy