বিপ্লব মিত্র। —ফাইল চিত্র
দিল্লিতে অনুগামীদের পাঠিয়ে দলবদলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে এক ধাপ এগোলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র। শুক্রবার দিনভর তাঁর বিজেপিতে যোগদানের খবরে জেলা তোলপাড় হয়। বিপ্লব বলেন, ‘‘এ নিয়ে লুকোছাপার কিছু নেই। সকলকে জানিয়ে বিজেপিতে যোগ দেব।’’ তাঁর ওই বক্তব্য এবং অনুগামী জেলা পরিষদের সদস্যদের ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছনোর ঘটনা বিপ্লবের দলবদলের বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছে। জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে ১২ জন সদস্যের সমর্থন নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ক্ষমতা বিজেপিকে তুলে দিয়ে গেরুয়া শিবিরে যাত্রা শুরু করতে চাইছেন বিপ্লব।
সে জন্য বেশ ক’দিন ধরেই ঘর গোচ্ছাছিলেন বিপ্লব। এ দিন দিল্লি থেকে বিপ্লব অনুগামী জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘জেলায় তৃণমূল দলটাকে মেজদা নিজের হাতে তৈরি করেন। তাঁর প্রতি যে অবহেলা ও তাঁকে যে অপমান করা হচ্ছে, তা সইতে না পেরেই আমরা দাদার সঙ্গ নিয়েছি। দাদা যে দিকে যাবেন, আমরাও সে পথে যাবে।’’
এ দিনই সংবাদমাধ্যমের একাংশের হাতে এসেছে একটি ‘অডিয়ো অংশ’। আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি। সেই অডিয়োয় যে দু’জনের গলার স্বর রয়েছে, তার এক জনের সঙ্গে বিপ্লবের গলার সাজুয্য আছে বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেই কথাবার্তায় পরোক্ষে দলবদল এবং লেনদেনের প্রসঙ্গ উঠেছে বলেও অনেকের দাবি। রাজনীতিরই কেউ কেউ বলছেন, কথোপথনটি লোকসভা ভোটের আগে হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা থেকে তৃণমূলের দাবি, প্রকাশ্যে যা-ই বলুন না কেন, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিরোধী শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন বিপ্লব। যদিও এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য মেলেনি। তাঁর একটি ফোন বন্ধ ছিল, অন্য ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। শুধু জেলা পরিষদই নয়, তিনি জেলার ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্তত ৫০টি নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেতে চাইছেন বলে বিপ্লবঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন। কেন? অনেকেরই বক্তব্য, তা না হলে বিপ্লব নিজের জোর দেখাতে পারবেন না।
বালুরঘাট লোকসভা আসনে অর্পিতার পরাজয়ের পুরো দায় বিপ্লবের উপর চাপিয়ে দলনেত্রী তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে অর্পিতা ঘোষকে সেই দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় বিপ্লব অপমানিত বোধ করেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি। সভাপতি হয়েই অর্পিতা ব্লক থেকে অঞ্চল এবং যুব কমিটিতে বিপ্লব অনুগামীদের ছেঁটে ফেলেন বলে দাবি। কোণঠাসা বিপ্লবের ঘুরে দাঁড়ানোর অন্য কোনও রাস্তা ছিল না বলেই তাই জানাচ্ছেন ঘনিষ্ঠরা। দাদা বিপ্লবের হয়ে প্রকাশ্যেই সরব হন গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা কলকাতা সভাতেও তারা কেউই যাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy