ফাইল চিত্র।
নিজেকে দার্জিলিং পাহাড়ের অভিভাবক বলে জানিয়ে দিলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। বুধবার সন্ধ্যায় বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে দেখা হয় গুরুংয়ের। ‘বিচ্ছেদের’ চার বছর পরে। রাতে মুখ না খুললেও বৃহস্পতিবার দুপুরে পাতলেবাসের অফিসে বসে গুরুং বলেন, ‘‘বিনয় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কষ্ট হয়েছে অনেক। চার বছর দেখা হয়নি। আর আমি তো সবার অভিভাবক। কেউ কষ্ট, ব্যথা বা সমস্যা নিয়ে এলে তার সমাধান করা আমার কাজ।’’ জানান, আগামীতে সবাই মিলে কাজ করবেন। কিন্তু কী ভাবে, স্পষ্ট করেননি তিনি।
গুরুং এ দিন বলেন, ‘‘চার বছর অনেকটা সময়। বিনয় একটা দলের সভাপতি হয়েছিলেন। জিটিএ চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এ সব তো মাথায় রাখতে হবে। ওঁর রাস্তা ওঁকেই তৈরি করতে হবে। নিশ্চয়ই কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আমি তো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’’ পাহাড়ের তরুণদের কর্মসংস্থান এবং করোনার জেরে বিদেশ ও ভিন্ রাজ্য থেকে ঘরে ফেরাদের কাজের ব্যবস্থা করাই এখন তাঁর মূল কাজ বলে গুরুং জানিয়েছেন।
গুরুং যে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান, তা নিয়ে পাহাড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পাহাড়ের নেতারা জানাচ্ছেন, বিনয়ের সামনে বিমলের সঙ্গে হাত মেলানোটা এখন অনেকটা সহজ। সে ক্ষেত্রে বাদ থাকছেন শুধু অনীত থাপা। অনীতের সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং মিলিয়ে প্রচুর লোকবল রয়েছে। তাই গুরুং আদতে অনীতকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন। যেমন বিনয় দল ছাড়ার পরেই ‘সবার জন্য দরজা খোলা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন গুরুং।
অনীত এ দিন দিনভর কালিম্পঙে ছিলেন। সেখানে জেলার নেতাদের সঙ্গে টানা বৈঠক করে। দলীয় সূত্রের খবর, বিনয়-বিমল এক হয়ে গেলে মোর্চা পতাকা অনীতের পক্ষে রাখার ক্ষেত্রে আইনগত সমস্যা হতে পারে। তাই সে ক্ষেত্রে নতুন দল গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে সেই দল তৈরি হতে পারে। অনীত অবশ্য বলছেন, ‘‘আমি একা তো কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। দলের নেতারা আছেন। দেখা যাক, কী হয়।’’ আর বিনয়-বিমল বৈঠক প্রসঙ্গে অনীতের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘বৈঠক বিনয় তামাং, বিমল গুরুং করেছেন। এ সব নিয়ে আমাদের উৎসাহ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy