প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে ‘কাটমানি হেল্প লাইন’ চালু করার কথা জানাল বিজেপির যুব মোর্চা। রাজ্য সরকারের তরফে হেল্প লাইন ফোন নম্বর দিয়ে বলা হচ্ছে, কেউ কাটমানি চাইলে সেই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে। একই ভাবে বিজেপির যুব মোর্চা নিজেদের দলের নেতাদের নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে জানাচ্ছে, এত দিন পর্যন্ত কোন কোন নেতা, কোন কোন কাজের জন্য কাটমানি নিয়েছেন, সেই নম্বরে তা জানাতে। সেই নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে বলে যুব মোর্চার দাবি। প্রশাসনকে নালিশও জানানো হবে। জলপাইগুড়ি পুরসভায় কে বা কারা কাটমানি নিয়েছে, তার তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি বিজেপি যুব মোর্চার। কাটমানির অভিযোগ তুলে নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরে দু’দিন আগে মিছিল করেছে কংগ্রেস।
২৫ ওয়ার্ডের জলপাইগুড়ি পুরসভায় তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১৫টি। ৫টি করে ওয়ার্ড রয়েছে কংগ্রেস ও বামেদের। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর নেই এখানে। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে শহরের ২৫টি ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়ে। এই ফলই পুরভোটের আগে উৎসাহ বাড়িয়েছে বিজেপির। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, “পুরসভা এবং এসজেডিএ-তে কে কত কাটমানি খেয়েছে, তার তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। আমাদের ফোন নম্বর দিয়ে বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছি, কে কত কাটমানি খেয়েছে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ আমাদের জানাতে। পার্টি অফিসে এসেও জানাতে পারেন। সকলের নাম পরিচয় গোপন থাকবে। আমরা সেই অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে কাজ বের করব, তদন্ত করাব।”
জলপাইগুড়ির জেলা কংগ্রেস নেতা তথা কাউন্সিলর পিনাকী সেনগুপ্তের মন্তব্য, “এত দিন আমরা যা অভিযোগ করেছি, তাই প্রমাণ হল। জলপাইগুড়ি পুরসভার সব প্রকল্প নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে প্রশাসনকে। তদন্ত হলেই কাটমানি খাওয়া চুনোপুটি থেকে রাঘববোয়ালেরা সামনে আসবে।”
বিজেপি-কংগ্রেসের আক্রমণ নিয়ে ভাবিত নয় বলে দাবি জেলা যুব তৃণমূলের। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় নিজেও কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য। সৈকতের পাল্টা দাবি, ‘‘বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে, তার একটাও প্রমাণ করে দেখাক। প্রমাণ না করতে পারলে আমরা পাল্টা মামলা করব। ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া বিজেপির সংস্কৃতি।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভার সব কাউন্সিলরকে নিজেদের ওয়ার্ডের কোন কাজ বাকি রয়েছে, কী সমস্যা রয়ে গিয়েছে, সেগুলি সব দ্রুত মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy