নতুন দলের আত্মপ্রকাশ পাহাড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
হামরো পার্টির পর আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করল পাহাড়ে। গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে পাহাড়ে রবিবার আত্মপ্রকাশ করেছে ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ (বিজিএসপি)। তার জেরে দার্জিলিঙে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফর চলাকালীন পাহাড়ে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হতে পারে এমন জল্পনা শুরু হয়েছিল। রবিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশ করল বিজিএসপি। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এসপি শর্মার বক্তব্য, ‘‘গোর্খাল্যান্ডই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের মূল উদ্দেশ্য গোর্খাদের সুরক্ষা।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘পাহাড় নিয়ে সব রাজনৈতিক দলই শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও মিল নেই।’’ আগামী মে মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর কাছে পৃথক রাজ্য তৈরির দাবি তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন শর্মা। জিটিএ নিয়ে শর্মার মন্তব্য, ‘‘ওটা পাহাড়ের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে পাহাড়বাসীর কোনও সুবিধা হচ্ছে না । তাই আমাদের দলের জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
মদন তামাংয়ের মৃত্যুর পর অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তবে এর পর মদনের মেয়ে ভারতী তামাংয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছিলেন এই এসপি শর্মা। গোর্খাল্যান্ডপন্থী নেতা হিসাবেই তাঁর পরিচিতি পাহাড়ে। দফায় দফায় আন্দোলন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শর্মার। দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের পোস্টারে জুতোর মালা পরানো, সাংসদের কুশপুতুল দাহ, বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করার মতো অভিযোগও রয়েছে শর্মার বিরুদ্ধে। পাহাড় ‘সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান’ চেয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সময় আশ্বাস পেয়ে অনশন ভাঙেন তিনি। তার পর থেকে ‘নীরব’ ছিলেন শর্মা এবং প্রয়াত মদনের মেয়ে ভারতী। এর পর গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে রবিবার আত্মপ্রকাশ করল তাঁদের নতুন রাজনৈতিক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy