চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে আটকে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক ঘণ্টা ধরে সীমান্তে আটকে রয়েছি। এ পাশে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এ বার ও পাশের কাজ হলেই ফিরতে পারব। কিন্তু শুনছি, বাংলাদেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির জন্য শুল্ক দফতরের অফিস থেকে সবাই চলে গিয়েছে। তাঁরা কখন ফিরবে কেউ জানে না। সেখানে কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তো আমরাও ফেরার অনুমতি পাব না।
কক্সবাজারে আমার বাড়ি। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী-ও রয়েছেন। সীমান্ত পার হলেও অনেকটা পথ যেতে হবে। খুবই চিন্তা হচ্ছে। ও পাশের সবাই কেমন আছে, তা নিয়েও খুব চিন্তায় আছি। আমরা গত পয়লা অগষ্ট দার্জিলিঙে ঘুরতে এসেছিলাম। এ দিনই আমাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সে মতোই সীমান্তে আসি। তখনও ভাবিনি এমন অবস্থা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শুনলাম। আমি নিজেও আওয়ামি লীগ কর্মী ছিলাম। কিন্তু যে অত্যাচার শুরু হয়েছিল তাতে সরকারের পতন অনিবার্য ছিলাম। এই ঘটনায় তাই আমরা অবাক হয়নি। খুশি হয়েছি। এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরবে বলেই আশা করছি। তবে এখন সবার আগে দেশে ফিরতে চাই। সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় আছি।(কক্সবাজারের বাসিন্দা)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy