জোরকদমে: বাঁশ থেকে কঞ্চি কেটে, পতাকা লাগাচ্ছেন দলের কর্মী, সমর্থকেরা। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ষা ঢুকতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। এখন ঘরের কাজের সময় নয়। তা হলে এত বাঁশের বরাত দিচ্ছে কারা? প্রশ্ন শুনে বাঁশ ব্যবসায়ী হেসে বললেন, ‘‘বর্ষায় কি আর কেউ ঘরের কাজ করেন! বরাত আসছে গাঁটওয়ালা সরু বাঁশের। এই বাঁশ লাঠি হিসেবে বা শক্ত কোনও কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।’’ শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে গত কয়েক দিনে এ ধরনের বাঁশের কয়েক হাজার লাঠির অর্ডার হয়েছে বলে দাবি। কারণ জানতে চাইলে মুখে কুলুপ আটছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার ডাবগ্রামের এক বাঁশ ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিলেন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা তন্ময় নন্দী। তিনি এ দিন বেশ কিছু বাঁশের বাতা নিয়েছেন। জানালেন, তাঁরই এক আত্মীয় প্রার্থী হবেন। সে জন্য পাঁচশো বাতার অর্ডার দিয়েছেন। প্রার্থী ঠিক হলে বাঁশের লাঠিও নিয়ে যাবেন। পতাকা লাগাতে তো বাতা হলেই হয়? তাঁর বক্তব্য, ‘‘সে দিন কি আর আছে?’’
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাঁশের লাঠিতে পতাকা মুড়ে মিছিল, মনোনয়ন জমা দিতে যেতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকেও। এত বাঁশের লাঠির বরাত কি শুধু পতাকা লাগাতেই, নাকি অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে? উঠছে সেই প্রশ্ন।
তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচনে পতাকা লাগাতে বাঁশের প্রয়োজন হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে কেউ হয়তো ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের প্রার্থীই নেই।’’ বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কর্মীরা প্রয়োজন মতো পতাকা লাগানোর সামগ্রী জোগাড় করবে স্বাভাবিক। যাঁরা আগাম বাঁশেরলাঠির অর্ডার দিচ্ছেন, তাঁদের ভয় রয়েছে।’’
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির দায়িত্বে থাকা সিপিএমের দার্জিলিং জেলার নেতা দিলীপ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা বাঁশ কিনে বাড়িতেই বাতা বানাচ্ছি। কিছু বাঁশেরও প্রয়োজন। তাই বলে এটা নয়, যে ঝামেলা করতে বাঁশ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রতিরোধও তো প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy