বাগডোগরা বিমান বন্দর। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার পরে, বাগডোগরা বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ হতে চলেছে রাজ্যের আর এক প্রান্তের। আগামী ৩০ অগস্ট থেকে বাগডোগরার সঙ্গে জুড়বে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, আপাতত সপ্তাহের চার দিন— সোমবার, বুধবার, শুক্রবার এবং রবিবার সরাসরি বাগডোগরা-দুর্গাপুর বিমানটি চলবে। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার তৈরি সূচি ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র (এএআই) অনুমোদনের পরে, দু’টি বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা মহম্মদ আরিফ এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি। তবে এএআই-র পূর্বাঞ্চলীয় দফতরের আধিকারিক বলেন, ‘‘বাগডোগরা ঘিরে এখন পরপর বিমানের সংখ্যা বাড়বে। দুর্গাপুরের বিমানটির সঙ্গে ভুবনেশ্বরকে যুক্ত করা রয়েছে। একই বিমান বাগডোগরা থেকে অন্ডাল যাতায়াত ছাড়াও, ভুবনেশ্বরে যাবে।’’ বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নির্ধারিত চার দিন বিমানটি দুর্গাপুর থেকে দুপুর সোয়া ১টায় ছেড়ে বাগডোগরায় আসবে ২-২০ মিনিট নাগাদ। এর পরে ২-৫৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে ছেড়ে বিকাল ৪-০৬ মিনিটে ফের দুর্গাপুরে পৌঁছবে। টিকিটের দাম আপাতত শুরু হচ্ছে ৩,৯৯৯ টাকা থেকে। এই বিমানটিই ভুবনেশ্বরের সঙ্গে বাগডোগরা এবং দুর্গাপুরকে জুড়বে। সব মিলিয়ে দুটি গন্তব্যের সঙ্গে বাগডোগরা জুড়তে চলেছে।
বাগডোগরা থেকে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই বিমান চলাচল করে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত আমদাবাদেও সরাসরি বিমান চলত। আপাতত তা ‘ভায়া’ হয়ে চলছে। এর বাইরে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও করে।দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদের উড়ান চালু রয়েছে। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাস মণ্ডল বলেন, ‘‘৩০ অগস্ট থেকে ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটি ও বাগডোগরা রুটে পরিষেবা শুরু হবে বলে ঠিক হয়েছে।’’
নতুন বিমানের রুট চালু হওয়ায় বাসিন্দাদের সঙ্গে খুশি পর্যটন মহলও। ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো বাড়ছে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন রুট তৈরি হবে। আরও আন্তর্জাতিক বিমান আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা খরচে বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের কাজ শুরু হতে চলছে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বৈঠকে তা অনুমোদিত হয়েছে। ইতিমধ্যে মূল বিমানবন্দরের নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। নতুন বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ ছাড়াও, একাধিক ‘এয়ার বে’, ‘অ্যাপ্রন’, ‘পার্কিং’, ‘হ্যাঙ্গার’-এর মতো নানা পরিকাঠামো তৈরি হবে। প্রায় ১০৪ একর জমিতে নতুন বিমানবন্দরে টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy