মহিলা পুলিশ পাহারা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গার্লস হোস্টেলের সামনে। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা নিরাপত্তার ফাঁকফোকর মেটাতে নড়েচড়ে বসা যে জরুরি তা উপলব্ধি করছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার কিছু চালু করা হচ্ছে। বাকি কাজ কবে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েইছে। অন্য দিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তড়িঘড়ি কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত বৈঠক ডাকলেন কর্তৃপক্ষ। আজ, সোমবার এই বৈঠক। মদ্যপ অবস্থায় কেউ হাসপাতালে ঢুকছে কিনা তা পরীক্ষার যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকদের কয়েকজন জানান, রোগীর পরিবারের নাম করে একাধিক লোক রাতে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। সুপার সঞ্জয় মল্লিক এ সব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘‘দু’বছর আগে পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিস্তারিত পরিকল্পনা হয়েছিল। অর্থের জন্য তা হয়নি। নিরাপত্তা রক্ষীর অভাবের কথা বার বার হলা হচ্ছে। রাতে ডিউটি সেরে ছাত্রছাত্রীরা কার্যত নিজেরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এত বড় ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় গেট করা দেওয়াল ভাঙা।’’ এখনই সমস্যা গুলো মেটার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন অনেকে। তার মধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রী হস্টেলে সব সময়ের জন্য মহিলা পুলিশ কর্মী পাঁচ জন মিলেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশি পেট্রলিং বাড়ানো হচ্ছে। মেডিক্যাল চত্বরে আরও আলো লাগানো হবে।’’ এ দিন আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বিক্ষোভ দেখায় ইনটার্ন ছাত্রছাত্রীরা।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর জন্যও আবেদন জানানো হবে। কলেজ কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy