Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Binay Tamang

বিনয়পন্থীদের অফিস ভাঙচুর, উত্তেজনা পাহাড়ে

মোর্চার সভা ও পাল্টা সভা, বিবৃতি ঘিরে শুরু হয়েছে দফতর ভাঙচুরের চাপানউতোরও।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শান্তশ্রী মজুমদার
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১০
Share: Save:

বিমল গুরুং পাহাড়ে ওঠার পর থেকেই মোর্চার দুই শিবিরে অশান্তি এবং ঠান্ডা লড়াইয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেই দাবি করছে পাহাড়ের একটি অংশ। ভোটের আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল শিলিগুড়ি থেকে। কিন্তু দার্জিলিং হয়ে এ বার সেই লড়াই পৌঁছেছে কালিম্পংয়েও। দুই শিবিরই পরস্পর একে অপরকে শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ করেই থেমে নেই। মোর্চার সভা ও পাল্টা সভা, বিবৃতি ঘিরে শুরু হয়েছে দফতর ভাঙচুরের চাপানউতোরও।

গুরুংয়ের প্রত্যাবর্তনের প্রথম সভা কালিম্পং মেলার মাঠে ছিল বুধবার। জনসভায় অন্য দিনের মতোই বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছিলেন মানুষজন। বিনয়-অনীত শিবিরকে আক্রমণ করা ছাড়াও পাহাড়ের বাসিন্দাদের জন্য ‘কে ভাল বিকল্প’, তা প্রমাণ করার চেষ্টায় মরিয়া ছিলেন গুরুং শিবিরের বেশিরভাগ নেতাই। গুরুং না থাকার জন্য যে সমস্ত নেতা দীর্ঘদিন থেকে ঘরছাড়া হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এ দিন গুরুং-রোশনদের হাত ধরে প্রকাশ্যে আসেন। নিজে হাতে তাঁদের কয়েকজনকে খাদা পরিয়ে মনোবল বাড়ানো চেষ্টা করেন বিমল গুরুং। তারপর পাহাড়ে প্রতিশ্রুতি পালন না করার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রোশন গিরি।

আগামিকাল, শনিবার কালিম্পংয়েই পাল্টা ‘পরিবর্তন পদযাত্রা’ রয়েছে বিনয়-অনীতদের। বিভিন্ন এলাকায় মোর্চার একটি গোষ্ঠীর সভা এবং পাল্টা সভার আগে নানা ঘটনা পুলিশকে এমনিতেই চিন্তায় রেখেছে। কারণ পাহাড়ে দুই পক্ষই প্রতিটি সভায় একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। এর আগে পাহাড়ে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কালিম্পং থেকে দার্জিলিং আসার পর এক দামাই বোর্ডের চেয়ারম্যানের গাড়িও ‘কাকতালীয় ভাবে’ জ্বলে যায়। দুই শিবিরের হাড্ডাহাড্ডিতে বুধবার কালিম্পংয়ে পরিস্থিতি কিছুটা হাতের বাইরে চলে যায়। বিমলের সভার আগে নম্বরচকে বিনয় তামাং গোষ্ঠীর দফতরে ভাঙচুরের তির গুরুং শিবিরের দিকে। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিনয় শিবির। যদিও বিমল শিবিরের দাবি, তাঁরা দফতর ভাঙচুর করেননি। বিমলপন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘বিনয়দের এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদেরই তো অফিস। আমরা কেন ভাঙচুর করতে যাব?’’ কালিম্পং জেলা পুলিশ সুপার হরিকৃষ্ণ পাই বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এ দিনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে জিটিএ এলাকাকে উত্তর-পূর্ব পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি ফের তোলেন বিনয়। তাঁদের দাবি, দার্জিলিং, কালিম্পং, তরাই, ডুয়ার্সের একটি বড় অংশ এই পর্ষদে আওতাভুক্ত হওয়া জরুরি।

অন্য বিষয়গুলি:

Binay Tamang Bimal Gurung
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy