ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে জিটিএ-র বিভিন্ন দফতর, শাখার কয়েক হাজার কর্মী যে তাঁদের স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন, সোমবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। এই কর্মীরা এখনও অস্থায়ী। তাঁদের স্থায়ী করতে হবে— এই দাবিতে কর্মবিরতি করছেন তাঁরা। তাতে পাহাড় জুড়ে কাজকর্মে এক মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে। ২ অক্টোবর অবধি কর্মীরা রাজ্য সরকার এবং জিটিএকে সময়সীমা দিয়েছেন। নইলে আরও বড় আন্দোলনের পথে তাঁরা হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উত্তরকন্যার কন্যাশ্রী বাংলোতে আছেন। এ দিন সরকারি কোনও কর্মসূচি না থাকলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন এক সময় দলের তরফে পাহাড়ের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসও। পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বুধবার কথা বলার কথা। জিটিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, ৩১ অগস্ট জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা অস্থায়ী কর্মীদের দাবি নিয়ে একটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিনয়ও একই কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। প্রশাসন সূত্রে খবর, সুবাস ঘিসিংয়ের আমল থেকে এই কর্মীদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষা দফতরের স্থায়ী হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বর্তমানে জিটিএ-র বিভিন্ন দফতর, শাখা বা বিভাগ মিলিয়ে গ্রুপ-এ তে ৩১০, গ্রুপ-বিতে ৫২১ জন, গ্রুপ সি-তে ২৫২৬ জন এবং গ্রুপ ডি পদে ৭৭৫ জন কর্মী কাজ করছেন।
এর আগে ২০০৯ সালে শূন্যপদের ভিত্তিতে কর্মীদের চাকরির সময়, মেয়াদ, অভিজ্ঞতাকে ধরে স্থায়ী নিয়োগের কথা বলা হলেও বাস্তবে পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য তা হয়নি বলে দাবি। এই অবস্থায় ১৭ অগস্ট থেকে একজোট হয়ে ইউনাইটেড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ছাতার তলায় আন্দোলনে নেমেছেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাহাড়ে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সংগঠনের সচিব সুভাষ ছেত্রী বলেন, ‘‘কয়েক হাজার কর্মী এবং তাঁদের পরিবার এবার মুখ্যমন্ত্রীর পথ চেয়ে বসে আছেন। বিনয় তামাং অনীত থাপারা উপর আমরা ভরসা রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy