Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Siliguri Municipality

শিলিগুড়িতে আপাতত অশোক জমানা

অশোক নিজে এ বারে কলকাতায় মেয়রকে রেখে প্রশাসক বোর্ড গড়ার বিরোধিতা করেছিলেন।

অশোক ভট্টাচার্য

অশোক ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২০ ০৮:৪৭
Share: Save:

এর আগে বহু বার শিলিগুড়ি পুরবোর্ডের দখল নিয়ে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য এবং পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু প্রশাসক বসানোর সময় রাজ্য তৃণমূল তো দূর অস্ত, প্রশাসনেরও কাউকে বেছে নেয়নি। বরং মেয়রকেই আগামী ১৭ মে থেকে প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সরগরম লকডাউনের শিলিগুড়ি।

অশোক নিজে এ বারে কলকাতায় মেয়রকে রেখে প্রশাসক বোর্ড গড়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁকে যখন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হল, তিনি তখন কী বলছেন? অশোকের কথায়, ‘‘কলকাতা পুরসভার আইনে এই ভাবে প্রশাসক বোর্ড করার সুযোগ ছিল না। সেটা নিয়ে আমিও প্রশ্ন তুলেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন ২০০৬-এ কিন্তু সে সুযোগ আছে।’’ তবে এই ব্যাপারে মন্ত্রী বা সচিব, কেউই তাঁর সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে কথা হবে বলেও জানিয়েছেন অশোক।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্ব চাননি করোনার আবহে নতুন কোনও বিতর্ক তৈরি হোক। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে দল-নিরপেক্ষ প্রশাসন চালান, তার প্রকৃত উদাহরণ হয়ে রইল এই সিদ্ধান্ত। অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করার মধ্য দিয়ে তিনি সেটা স্পষ্ট করেছেন।’’ তিনি আরও জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যে যেটা মডেলটা করা হচ্ছে, সেটাই করা হল শিলিগুড়িতেও। তাঁর কথায়, ‘‘সেই মতো অশোক ভট্টাচার্য যেহেতু মেয়র ছিলেন, তাই তাঁকেই প্রশাসক বোর্ডের প্রধান করা হল। না হলে অন্য কাউকে তো করাই যেত।’’

তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, করোনা আবহে শিলিগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডে যাতে রাজনীতির অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। বস্তুত, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব চাইছিলেন না, এই অবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক প্রশাসককে সরিয়ে প্রশাসনের কোনও ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল অবশ্য বলেন, ‘‘এমনিতেই তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভাকে অর্থ সাহায্য সে ভাবে করেনি বলে বহু বার অভিযোগ উঠেছে। এখন তাই নতুন করে সমস্যায় যাতে না পড়ে, সে জন্য ঝুঁকি নিতে চাইছে না।’’

সব মিলিয়ে, এ দিনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে ১৭ মে-র পরেও শিলিগুড়ি পুরবোর্ডের মাথায় অশোকই থেকে যাচ্ছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Siliguri Municipality Ashok Bhattacharya CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE