থালায় খাবার নিয়ে। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই ভিড়ে থিকথিক করছিল ধাইয়ের হাট হাইমাদ্রাসায়। দুয়ারে সরকার শিবিরের লাইনে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন বহু মানুষ। দেখা যাচ্ছিল মহিলা-শিশুদেরও। কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কারও তেষ্টা পেয়েছে। কেউ খুঁজছেন খাবার। এমন সময়েই প্লেট হাতে হাজির ছাত্রীরা। সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সাবিনা, শিউলি, জেসমিন। সবাই কন্যাশ্রী। একে একে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেককে মুড়ি-ঘুগনি দিলেন তাঁরা। আর গরমের কথা মাথায় রেখে ‘ওআরএস’ গোলা জল। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হামিদুল ইসলাম বলেন, “কোভিড বিধি মেনে আমরা সবাই মানুষের পাশে ছিলাম। কন্যাশ্রী মেয়েরা প্রথম দিন থেকেই খুব ভাল কাজ করছে। ওদের ভূমিকা দেখে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন তৃতীয় পর্যায়ের দুয়ারে সরকার হয়েছে ওই স্কুলে। প্রথম থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা কাজে সহযোগিতা করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে কন্যাশ্রীদের কাজের সুযোগের কথা জানানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, সেই সময় থেকেই মেয়েরা ময়দানে নেমে পড়েন। প্রথম দিন ফর্ম পূরণে সাহায্য করেন তাঁরা। ওই দিন জল আর ফলের রসও দেওয়া হয় লোকজনকে। এ দিন সকাল-সকাল দ্বাদশ শ্রেণির সাবিনা বেগম, শিউলি ইয়াসমিন, জেসমিন পারভিন, একাদশ শ্রেণির সুস্মিতা পারভিন, রিয়া খাতুনরা হাজির হন স্কুলে। আগেই অবশ্য অনেক মানুষ পৌঁছে গিয়েছিলেন। লাইন ছিল মাঠে।
এ দিনও লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর লাইনে উপচে পড়েছিল ভিড়। কোচবিহার ১-এর বিডিও নৃপেন বিশ্বাস ওই স্কুলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। শিক্ষকরা জানান, আগাম পরিকল্পনা করে মুড়ি-ঘুগনি ও ‘ওআরএস’-জলের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। সকাল থেকে প্রচুর রোদ ছিল। সময় মতোই সবাইকে খাবার দেওয়া শুরু করা হয়। জেসমিন ও শিউলি বলেন, “খুব ভাল লাগছে। অনেকের অসুবিধে হচ্ছিল। সেই সময় পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।” উপস্থিত এক মহিলা বলেন, “ছোট্ট শিশু নিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। জল আর খাবার পেয়ে যে কী আনন্দ হয়েছে, বলে বোঝাতে পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy