অনীত থাপা। —নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং পাহাড়ের চা বাগানের পাট্টার সমস্যা, কয়েকটি বাগানের অচলাবস্থা এবং শিক্ষক নিয়োগের বিতর্ক নিয়ে আলোচনার জন্য কলকাতায় যাচ্ছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা৷ সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরেও তাঁর মুখ্যসচিব এবং কয়েকজন সচিবের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, স্পেন সফর থেকে ফেরার পর মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিনি কিছুটা সুস্থ হলেই অনীত কলকাতা যাবেন। চলতি সপ্তাহে জিটিএ প্রধান এক দফায় কলকাতায় পাহাড়ের সমস্যার নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জিটিএ প্রধান বলেন, ‘‘চা বাগান ঘিরে পর পর কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। পাট্টা থেকে কয়েকটি বাগানের অচলাবস্থাও রয়েছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য কলকাতা যাব। বাকি সব সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
জিটিএ সূত্রের খবর, গত এক দেড় মাস ধরে দার্জিলিং পাহাড়ে একের পর এক কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। রাজ্যের সঙ্গে পাহাড়ের শাসক দলের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পাট্টা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চা শ্রমিকদের ৫ ডেসিমেল করে জমি দেওয়ার ঘোষণা করে মন্ত্রিসভা। বাগানের ফাঁকা জমি বা অব্যহৃত জমি শ্রমিকদের দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু পাট্টা নিয়ে শাসক দল প্রচারে নামতেই পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ে হামরো পার্টি, জিএনএলএফ, সিপিআরএম, বিজেপি বা সিপিএমের মত দলগুলি।শ্রমিকদের জমি কেড়ে অন্যত্র ৫ ডেসিমেল দেওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে। বাগানের জমি প্রোমোটাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা অভিযোগও আনা হয়। শ্রমিকেরা যে জমিতে রয়েছে বা চাষাবাদ করছেন, সেটাই পাট্টার কথা বলা হয়। এমন প্রচারে অনেকটাই ব্যাকফুটে যায় শাসক দল। বাগানে বাগানে আন্দোলন শুরু হয়। শেষে সরকার পাহাড়ে জমি সমীক্ষা স্থগিত করে দেয়। আবার একটি চা গোষ্ঠীর কয়েকটি বড় বাগানেও অচলাবস্থা তৈরি হয়।
বাগানগুলির পুরনো মালিকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের দেনাপাওনার প্রভাব বর্তমান গোষ্ঠীর উপর আসতে থাকায় বাগানগুলিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। জিটিএ প্রধান ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানকে চিঠিও দেন। পুজোর আগে বাগানে বাগানে অশান্তির মেঘ দেখে নেতারা পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়েন। যা নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়। চা বাগান নিয়ে জেরবার জিটিএ-র আরও সমস্যা বাড়ে বিধানসভার আগে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে। ভোটের রাজনীতি, টাকা তোলার মত অভিযোগ বিরোধীরা করছেন। পরীক্ষা জিটিএ নিতে পারে না বলে শিক্ষা দফতর জানানোয় সমস্যা বাড়ে।
এই সব নিয়েই ‘সমাধানের’ রাস্তা খুঁজতে অনীত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে ধরা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy