পচা খিচুড়ি খাওয়ানোর চেষ্টার অভিযোগে কর্মী ও সহায়িকাকে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। কর্মী ও সহায়িকার গায়ে ঢালা হল পচা খিচুড়ি।
শিশুদের পচা খিচুড়ি খাওয়ানোর চেষ্টার অভিযোগ কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গৈতোর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এলাকার মহিলারা কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে মারধর করে তাঁদের গায়ে সে খিচুড়ি ঢেলে দেন বলে অভিযোগ। জেলার সুসংহত বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক নারগিস পারভিন বলেন, “কেন্দ্রের অভিযুক্ত কর্মী ও সহায়িকাকে ‘সাসপেন্ড’ করে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ওই কেন্দ্র থেকে এলাকার শিশু, প্রসূতি ও গর্ভবতী মহিলা মিলিয়ে ৮৫ জনকে সরকারি ছুটির দিন বাদে, প্রতিদিন খিচুড়ি, ডিম-সহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। এ দিন ৪০টি শিশু কেন্দ্রে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য গিয়েছিল। অভিভাবক বিষ্ণু সরকারের দাবি, গত শনিবার ওই কেন্দ্রে খিচুড়ি বেঁচে যায়। তা বড় হাঁড়িতে রাখা ছিল। রবি ও সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তাঁদের অভিযোগ, এ দিন কেন্দ্র খোলার পরে বিজলি ও দীপালি পচে যাওয়া দুর্গন্ধযুক্ত খিচুড়ির মধ্যে জল ঢেলে তাতে চাল ও ডাল মিশিয়ে নতুন করে খিচুড়ি রান্না করার জন্য হাঁড়িটি উনুনে চাপান। কয়েক জন শিশু তা দেখে অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবকেরা কেন্দ্রে গিয়ে ঘটনাটি হাতেনাতে ধরেন। এলাকার মহিলাদের একাংশ কেন্দ্রের কর্মী বিজলি সিংহ ও সহায়িকা দীপালি শীলশর্মার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন মহিলারা বিজলি ও দীপালির গায়ে একাধিক বার পচা খিচুড়ি ঢেলে দেন। উত্তেজিত মহিলারা বিজলি ও দীপালিকে মারধর করেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনও মতে পালান দীপালি। পুলিশ গিয়ে বিজলিকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
অভিভাবকদের প্রশ্ন, পচা খিচুড়ি খেয়ে শিশুর বিপদে হলে ঘটনার দায় কে নিতেন? তাঁদেরই এক জন রত্না সরকারের দাবি, “ওই কেন্দ্রের কর্মীরা শিশু ও মহিলাদের নিম্ন মানের খাবার খাওয়াচ্ছেন। কেন্দ্রের ওই দুই কর্মী ও সহায়িকাকে অন্যত্র বদলি করা না হলে কেন্দ্র খুলতে দেব না।” অভিযুক্ত বিজলি বলেন, “বেঁচে যাওয়া খিচুড়িতে ফের খিচুড়ি চাপানো ভুল হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy