—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
এমনিতেই ‘টানাটানির সংসার’। তার উপরে, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। অনেক জায়গায় স্কুলের মিড-ডে মিলেও দেওয়া হয় ডিম। দুই জেলার কর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, এমন আর কয়েক দিন চললে ডিমের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
কোচবিহারের আইসিডিএস কর্মী মমতা সরকার। তিনি কোচবিহার জেলা আইসিডিএস ও হেল্পার্স ইউনিয়নের সম্পাদিকার দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সপ্তাহে ছ’দিন শিশুদের ডিম খাওয়াতে হয়। তার মধ্যে তিন দিন গোটা ডিম ও তিন দিন অর্ধেক ডিম। একটি ডিমের দাম হিসাবে দেওয়া হয় ছ’টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে বাজারে একটি ডিমের দাম এখন আট টাকা। পাইকারি দরে কিনলে সামান্য কমে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সামান্য ভাতা দেওয়া হয়। সে সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিল পেতেও দেরি হয়। তার মধ্যে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিজেদেরই
পয়সা দিতে হচ্ছে। ওই সামান্য টাকার মধ্যে কী করে এই খরচ চালানো সম্ভব?’’
অঙ্গনওয়াড়ি থেকে মিড-ডে মিল— সব জায়গায় আলুরও প্রয়োজন হয়। এখন আলুর দাম কেজি প্ৰতি ২০ টাকা। হলদিবাড়ি নালটিয়া চতুর্থ পরিকল্পনা প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের কর্মীরা অসুবিধায় পড়েছেন। ছাত্রছাত্রী পিছু পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা করে দেওয়া হয় মিড-ডে মিলের জন্য। সেখানে সপ্তাহে তিন দিন অর্ধেক করে ডিম দিতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। স্বাভাবিক ভাবেই টানাটানি চলে।’’
ডিমের দাম আচমকা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকারাও। মিড-ডে মিলের পাতে ছাত্রছাত্রীদের ডিম দিতে সমস্যায় পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকেরাও। আলিপুরদুয়ারের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দীপা পাল বলেন, “ডিমের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় সরকারি নির্দেশ মেনে মা ও শিশুদের প্রতি দিনের মেনু হিসেবে রান্নায় খুবই সমস্যায় পড়েছি। মেনুতে ডিম রাখতে পকেটের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।”
আলিপুরদুয়ারের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “বিষয়টি জানি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানানোও হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy