Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Anandabazar Adwitiya Program

সুপ্ত প্রতিভাকে কুর্নিশ অদ্বিতীয়ার

আজ, শনিবার বিকালে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সিটি সেন্টারে প্রতিযোগীদের সঙ্গে থাকছেন গায়ক রাঘব চট্টোপাধ্যায়ও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪২
Share: Save:

এ যেন শীতের সন্ধ্যায় স্বপ্নের উড়ানের শেষ প্রহর গোনার অপেক্ষা। ওঁরা জীবনের শত লড়াইয়ের মধ্যেও হারিয়ে দিতে চাননি নাচ, গান, আবৃত্তিকে। ঘরে-বাইরে সব সামলে মনের কোণে ধরে রেখেছিলেন নিজের ভাললাগা ও ভালবাসাটাও। এই সুপ্ত প্রতিভাগুলিকে কুর্নিশ জানাতে তৈরি ‘পিসি চন্দ্র মুগ্ধা নিবেদিত আনন্দবাজার পত্রিকা অদ্বিতীয়া’।

আজ, শনিবার বিকালে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সিটি সেন্টারে প্রতিযোগীদের সঙ্গে থাকছেন গায়ক রাঘব চট্টোপাধ্যায়ও। শিলিগুড়ির শ্রোতাদের গানও শোনাবেন রাঘব। কণ্ঠসঙ্গীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি বিভাগে শিলিগুড়ি এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলের প্রতিযোগীদের মধ্যে সেরাদের বেছে নেওয়া হবে এই সন্ধ্যায়। জয়ীরা পরে কলকাতার চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।

‘অদ্বিতীয়া’ শুরু হয়েছে গত নভেম্বর থেকে। সারা রাজ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে হাজারের বেশি ভিডিয়ো-সহ ১০ হাজারের বেশি নাম নথিভুক্ত হয়। নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নাচ, গান বা আবৃত্তির ৬০ সেকেন্ডের ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে হয়েছিল। বিকল্প হিসাবে ‘অদ্বিতীয়া’ ওয়েবপেজে তা আপলোড করার নিয়মও ছিল। ভিডিয়োগুলি খুঁটিয়ে দেখে বিচারকেরা বেছে নিয়েছেন আঞ্চলিক পর্যায়ের লড়াইয়ের জন্য সেরাদের।

নাচের বিভাগে প্রতিযোগী হিসাবে ডাক পেয়েছেন ইশিতা সরকার। আদতে কলকাতার বেলগাছিয়ার ইশিতা বিবাহসূত্রে গত ১২ বছর ধরে শিলিগুড়ির শক্তিগড়ের বাসিন্দা। সাড়ে তিন বছর বয়স থেকেই শুরু করেছিলেন নাচ। তারপরে বিয়ে হয়ে যায়। মেয়ে হওয়ার পরে সংসার সামলাতে নাচটা হারিয়েই যাচ্ছিল ইশিতাদেবীর। কিন্তু মনের কোণ থেকে ফেলে দিতে পারেননি ভালবাসাটা। মেয়ে ৫ বছরের হতেই নতুন করে শুরু করেন নাচ। এখন একটি সংস্থায় নাচ শেখান তিনি। পাশাপাশি বাচ্চাদের একটি স্কুলেও পড়ান ইশিতা। ‘অদ্বিতীয়া’র বিজ্ঞাপন দেখেই এগিয়ে আসার পরিকল্পনা নেন।

অনেকটা যেন একইরকম গল্প শিলিগুড়ির বাবুপাড়ার বাসিন্দা পৌষালী ভদ্রের। তাঁর বাবা ডুয়ার্সের একটি চা বাগানে কর্মরত ছিলেন। বাবা, দিদির হাত ধরে ছোটবেলায় আবৃত্তিতে হাতেখড়ি। তারপরে সময় যত এগিয়েছে শখ পরিণত হয়েছিল ভালবাসায়। কিন্তু বিয়ে আর সংসারের দায়িত্বের মাঝে যেন কিছুটা হারিয়ে যাচ্ছিল পৌষালীদেবীর আবৃত্তি। ‘অদ্বিতীয়া’র খবর জেনে পৌষালীদেবীকে অংশ নিতে উৎসাহ দেন তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি। পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বামীও।

গানে নজর কেড়েছেন শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এলাকার বাসিন্দা অনুশ্রী ভট্টাচার্য। তাঁর বাপের বাড়ি বেলুড়ে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি গান ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। গত বছর শিলিগুড়িতে বিয়ে হয়েছে অনুশ্রীর। তার কিছুদিন আগে থেকেই গানটা তুলে রাখতে হয়েছিল মনের কোণে। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সিভিল সার্ভিসের। একসময় পরিবারের ইচ্ছেয় গানকে ছাপিয়ে গিয়েছিল পড়াশুনো। ফেসবুকে ‘অদ্বিতীয়া’র বিজ্ঞাপন দেখে ঠিক করেন, আবার শুরু করবেন গান। শনিবার তিনিও হাজির হচ্ছেন মাটিগাড়ার সিটি সেন্টারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Anandabazar Adwitiya Program Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy